টিপু সুলতান।।
পকেটের তলানিতে পড়ে থাকা ছিঁড়া নোট কিংবা সিকিটিকে বারংবার খুঁজে মুষ্টিবদ্ধ করে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে স্কুলের যাওয়ার জন্য মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়ার নাম বাবা। সন্তানের পরবর্তী পদক্ষেপ মসৃণ করার জন্য দূর প্রবাসে কিংবা অন্য কোনো কর্মস্থানে দিন-রাত মাথার ফোঁটা ঘাম পায়ে নিয়ে আসার নাম বাবা। আমরা বাবাদের প্রতি ভালোবাসা সহজে প্রকাশিতে পারি না। যত সহজে আম্মুকে জড়িয়ে ধরে বলতে পারি ‘আম্মু তোমায় ভালোবাসি’ তত সহজে বাবাকে বলতে পারি না ভালোবাসি। সেবার বাবা হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে শুয়েছিলেন হাসপাতালের বিছানায়, পাশেই বসা ছিলাম। হঠাৎই ভীষণ শ্বাসকষ্টে যখন মৃত্যু যন্ত্রণায় ভুগছিলেন বাবা। কাঁপছিলেন বিছানাসহ তখন ওই মূহুর্তের মধ্যেই নিজেকে একা মনে হলো, মনে হলো আমার কেউ নেই, যিনি ছিলেন আমার ঢাল হয়ে তিনি চলে যাচ্ছেন। চিৎকার করে কান্না আসলো আমার, যেনো থেমে থাকার নয়। কেঁদেছিলাম আমি উপরের দিকে চেয়ে, বাবাকে জড়িয়ে ধরে। আলস্নাহ আমাদের কথা শুনেছেন। তারই কয়েকবছর পর আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আমি এখন বুক টানটান করে বলতে পারি ‘না আমার বাবা বেঁচে আছে, বাবাকে খুব মনে পড়ে। বাবাকে কখনো বলা হয়নি, ‘বাবা’ তোমায় খুব ভালোবাসি।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান