দ্বিতীয় মাসুম ট্রাজেডি না ঘটে পরিবারের আকুতি
স্টাফ রিপোর্টার।ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তায় আপন ভাই ও ভাইয়ের শ্যালক কে হত্যার দায়ে গত ২৭শে মার্চ ভোলার আদালতে বড় ভাই কে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আর তার পরের দিনই বাপ্তা মুছাকান্দি এলাকায় জমজ ভাইসহ ভাগিনা, ভগ্নীপতির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে ভোলা থানায় মামলা করেন ব্যবসায়ী ইয়ামিন নামে এক যুবক।ব্যবসায়ী দ্বন্দ্বে আপন ভাই ইয়ামিন কে রাতের আধারে বেদম পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছেন জমজ ভাই ইব্রাহীমর নেতৃত্বে ভাগিনারা।
এ সময় জমজ ভাই ইব্রাহীম কে বাবা বলেও রেহাই পাইনি বলে জানান ছোট ভাই ইয়ামিন।
অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় বাপ্তা মুছাকান্দি এলাকার মৃত্যু নজির আহমেদ এর ছেলে ইব্রাহীম ও ইয়ামিন জমজ ভাই, ইয়ামিন ভোলা শহরের খালপাড় রোড আহমেদ মিল্ক ষ্টোর এর মালিক এবং ইব্রাহীম কিচেন মার্কেট এর দৌতলায় আহমেদ দধি ঘরের মালিক।ইয়ামিন জানান, আমার ভাইয়ের সাথে আমার কোন বিরোধ নাই কিন্তু আমার ভাগিনা ও দুধের ব্যবসা করেন তাই আমাদের দাদন দেওয়া ঘোষের দুধ আমার ভাগিনা নিয়ে যাচ্ছে তাই আমরা বিষয়টি ওই ঘোষের কাছে জানতে চাইলে এ নিয়ে আমার ভাগিনার সাথে তর্কবিতর্ক হয় এক পর্যায়ে আমার ভাগিনারা আমাকে মারধর করে তারাই আমার বিরুদ্ধে ভোলা থানায় একটি জিডি করেন, এর পর আমি ২৮শে মার্চ ভোলা থানায় একটি মামলা করি যার নং -৬৯। মামলা কেনো করলাম তাই দ্বিতীয় বার আবার আমি বাসায় ফেরার সময় রাতে মুছাকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আমার জমজ ভাই ইব্রাহীমের নেতৃত্বে ভাগিনারা আমাকে বেদম পিটিয়ে পাশে একটি ড্রেনের মধ্যে পেলে দেওয়ার চেষ্টা করে এসময় আমি আমার ভাই কে বলি তুই আমার ভাই না বাপ তবুও আমাকে মারিস না তার পরেও আমাকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে পেলে রাখলে আশেপাশের মানুষ এসে আমাকে উদ্ধার করে, প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় পরে বরিশাল রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এই ঘটনায় আমার বড় ভাই ইলিয়াস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন যার নং-৫।
আমার ভাই ও ভাগিনারা আমাকে ফাঁসাতে আমি যখন অসুস্থ্য অবস্থায় বাসায় কাতরাচ্ছি ঠিক তখনই টং দোকানে আগুনে দিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেন আমার ভাই ও ভাগিনারা।
স্থানীয়রা জানান, ইয়ামিন এবং তার ভাই যে দ্বন্দ্ব এখনিই সমাধান না হলে মামুন মাসুমের মত ঘটনা ঘটতে পারে আবারো বাপ্তায় তাই দ্রুত প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বসে এখনই এর সুষ্ঠু সমাধান করা উচিত।ইয়ামিনের অভিযোগের ভিত্তিতে তার ভাই ইব্রাহীম এর বক্তব্য জানতে তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ভোলা কিচেন মার্কেটের দৌতলায় দুইদিন গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি তবে ইব্রাহীমের ছেলে সিয়াম বলেন আমার বাবা আপনাদের সাথে কোন কথা বলবে না, তা ছাড়া যদি আমার চাচাকে পিটিয়ে থাকে ভালো কাজ করছে।
ইয়ামিনের আরেক ভাই ইসমাইল বলেন আমি এসব বিষয়ে কথা বলতে চাইনা।
এ বিষয়ে ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।