ইব্রাহিম আকতার আকাশ: বন্ধুর বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মোটরসাইকেল-নছিমন মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেক বন্ধু।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাইমুদ্দিন মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ২ বন্ধুর মধ্যে একজনের বাড়ি বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গ্রামে। তার নাম মো. নেসার উদ্দিন। তিনি ওই গ্রামের মো. ইলিয়াস মিয়ার ছেলে এবং অপরজন চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের মো. কামাল হোসেন মিয়ার ছেলে ইমান।
আহত সিয়াম চরফ্যাশন উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আনসার আলির ছেলে। তাকে বরিশাল শেরে-বাংলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ৩ বন্ধুর পেশা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।
আহত সিয়ামের এক নিকটাত্মীয় ও পুলিশ ঢাকা মেইলকে জানায়, সিয়াম এবং ইমান হোসেন একটি মোটরসাইকেল যোগে মঙ্গলবার সকালে তাদের বন্ধু নেসার উদ্দিনের বাড়ি বোরহানউদ্দিনের কালীগঞ্জ গ্রামে দাওয়াত খেতে যায়। বিকেলে দাওয়াত খেয়ে সিয়াম এবং ইমান চরফ্যাশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এসময় তাদের সঙ্গে নেসার উদ্দিনও চরফ্যাশন আসে। তাদের মোটরসাইকেলটি দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে পৌঁছালে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের একটি যাত্রীবাহী বাসকে ওভারটেক করতে যায়। মোটরসাইকেলটির গতি বেশি থাকায় তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনের একটি নছিমনকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইমানের মৃত্যু হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় সিয়াম এবং নেসারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে তাৎক্ষণিক বরিশাল শেরেবাংলা (শেবাচিম) হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে নেয়ার পথে নেসার উদ্দিনের মৃত্যু হয়। আহত সিয়াম শেবাচিমে চিকিৎসাধীন আছে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, যতটুকু জানতে পেরেছি, তাতে বুঝলাম মোটরসাইকেলটির গতি ছিল অনিয়ন্ত্রিত। যাঁর কারনে তারা বাইকটিকে কন্ট্রোল করতে পারেনি। এটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল ও নছিমন জব্দ করেছে। রাত ৮টা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান