মোঃ আরিয়ান আরিফঃ
ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে রাতের মনপুরা। ওসি সাকাওয়াত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কথা বললেও সন্ধার পর থেকে গ্রেফতার কৃত শ্রীরাম চন্দ্র দাস এর ফাসির দাবীতে দফায় দফায় বিক্ষোভ করছে সাধারন সানুষ। এসময় তারা ফের হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি ঘর ভাংচুর করে। এতে চরম আতংকিত হয়ে পরেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
এর আগে জুমার নামাজের পরে মহানবী (সঃ) কে কটুক্তি করায় মনপুরা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। দফায় দফায় সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানা স্টাটাস ফেইজবুকে শেয়ার করার অভিযোগে শ্রীরাম চন্দ্র দাস (৩৫) নামে এক যুবক কে দুপুরেই আটক করেছে পুলিশ।
ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের প্রতিবাদে শুক্রবার জুমআর নামাজে পরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় মুসুল্লিরা, বিক্ষোভকারীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের দুইটি দোকান ভাংচুর করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এসময় ১০জন আহত হয়ছে। আহতদের মধ্যে চিকিৎসা নেয়ারা হলেন, ইব্রাহীম (৩৮), করিম (২৫), ছাইফুল (৩৫), রাজিব (১৯), আলাউদ্দিন (৪৭), সানাউল্লাহ (৩৩)। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মনপুরা থানার ওসি সাখাওয়াত পুরো মনপুরায় পুলিশের টহল বারিয়ে পরিস্থিতি পুলিশের নিলেও সন্ধার পর থেকে ফের বিক্ষোভ শুরু করে এবং কয়েকটি হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘর ভাংচুর করে। এতে পুরো মনপুরায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে। হিন্দু সমপ্রদায়ের লোকজন চরম নিরাপত্তা হিনতায় পরে। সর্বশেষ খবর লিখা পর্যন্ত চরম আতংকে রয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। তাদের ভোলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে নিরাপত্তার দাবী জানিয়েছেন ভোলার হিন্দু নেতারা ।
এ ঘটনায় প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের লাঠি চার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভোলা জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের সভাপতি,মাওলানা আব্দুর রহমান খান তালুকদার ও সাধারন সম্পাদক, আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম। তারা এঘটনার সাথে প্রকৃত অপরাধিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।