নিউজ ডেস্কঃ
প্রাথমিক শিক্ষাকে দেশের শিক্ষার মূল ভিত ধরা হয়। আর এই ভিত টাই যদি হয় নড়বড়ে। তবে কি হবে জাতি গঠনের অন্যতম মাধ্যম প্রাথমিক শিক্ষার? এই প্রশ্নের উত্তর মেলাতে প্রাথমিকের বৈষম্য নিয়ে লিখেছেন প্রধান শিক্ষক পাপিয়া হক। ভোলা নিউজের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো।
“” প্রাথমিক শিক্ষা কে সকল শিক্ষার মূল ভিত্তি বলে ধরা হয়। সুতরাং প্রাথমিক শিক্ষা কে ক্যাডার সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত করে এ শিক্ষায় নিয়োজিত শিক্ষকদের মর্যাদা সমুন্নত করা আজ সময়ের দাবি। ২০১৪ সালের ৯ ই মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (mother of humanity) প্রধান শিক্ষক পদ টিকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীতকরণের ঘোষণা দিলেন। কিন্তু দুঃখজনক আজও আমরা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ই রয়ে গেলাম। আমরা আরও বঞ্চিত হলাম টাইমস্কেল থেকে। অর্থ মন্ত্রণালয় কথিত ২য় শ্রেণির অযুহাত দেখিয়ে আমাদের প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিন্তু অনেক আন্তরিক প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষকদের প্রতি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি যদি রাজনীতি তে না আসতেন তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতেন। প্রাথমিক শিক্ষা কে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে দেয়া হয়েছে ল্যাপটপ,প্রজেক্টর। একইসাথে দেয়া হচ্ছে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ। চালু করা হবে বায়োমেট্রিক হাজিরা।তবে এটা চালু করার আগে আমাদের সময় সূচি তে পরিবর্তন আনাটা জরুরী। সকাল ৯ থেকে বিকাল ৪ঃ১৫ এর পরিবর্তে সকাল ১০ থেকে বিকাল ৩ করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ দীর্ঘ সময় সূচি কোমলমতি শিশুদের মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একই মন্ত্রণালয় , একই অধিদপ্তর হওয়ার পরেও আমরা বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে পিটিআই ইনসট্রাক্টর হিসেবে আবেদন করতে পারি না। পরীক্ষন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে ও রয়েছে আমাদের বেতনের ফারাক। এবছর অর্থৎ ২০২০ সালে আমরা পালন করবো বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী। এ বছর কে ঘোষণা করা হয়েছে “মুজিব বর্ষ” হিসেবে। তাই মুজিব বর্ষে আমাদের প্রাণের চাওয়া প্রশি পদ কে ১০ম গ্রেড ও সশি পদ কে ১১ তম গ্রেড, আমাদের ডিউ টাইমস্কেল প্রদান সহ অন্যান্য বৈষম্য দূর করে মেধাবী শিক্ষকদের পদচারণায় মুখরিত হোক প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার।””