বিশেষ প্রতিনিধি #
ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণী শিক্ষক নাজমুল হায়াত ভোলা নিউজের সাংবাদিকদের সাফ জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক নির্দেশে আমি নীতিমালা পরিপন্থী কাজ করেছি, আমি প্রধান শিক্ষকের অধিনে চাকুরিরত,
তিনি আরো জানান, টেষ্ট পরীক্ষায় শতকরা ৫০ ভাগ ফেল করেছে, তাদেরও ফরম ফিলাপ হয়েছে শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনায়,তবে তা নিয়ম নীতিমালা পরিপন্থী।।
এদিকে ভোলা সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কর্মে হতাশা জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক, শহরের প্রান কেন্দ্র বিদ্যালয়টির টেষ্ট পরীক্ষার ফলাফল এতটা খারাপ এর আগে শুনা যায় নি,ফেল করা শিক্ষার্থীদেরও ফরমফিলাপ করা হয়েছে এতে করে শিক্ষার্থীরা পাঠে মনযোগ হারিয়ে ফেলবে, এ ছাড়া বিষয়টি সরকারি নীতিমালা পরিপন্থী।।
উল্ল্যখ, ভোলার অতিপরিচিত এ বিদ্যালয়টির বর্তমানে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে রয়েছে কোচিং বানিজ্যের পৃষ্ঠোপোষকতা, সরকারি নিয়ম নীতিমালা না মানাসহ নানা অনিয়মের সাথে জাড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়াও প্রায় কর্মদিবসে অনুপস্থিত ও নীতিমালা পরিপন্থী ছুটি গ্রহণেরও অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।। সরকারি নীতিমালা বিদ্যালয়ের সাধারন ছুটি ছাড়া অন্য সকল ছুটিতে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ খোলা রাখার বিধান থাকলেও প্রধান থাকেন তখন নিজ বাড়ী বরিশাল গিয়ে আবার সরকারি নীতিমালা পরিপন্থী ভাবে নিজের দ্বায়িত্বভার বুঝিয়ে দেন অন্য শিক্ষককে যা সম্পূর্ণ বে আইনি।।
এছাড়া নীতিমালা সরকারি বেতনভূক্ত শিক্ষক নিজ বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থীদের পড়ানো সুযোগ নেই অথচ সেখানে দেখা যায় প্রকাশ্য কোচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন,ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় শিক্ষকবৃন্দ। এমনকি সরকারি কোয়ার্টার ও সরকারি ক্যাম্পসকে ব্যবহার করে হাতিয়ে নিচ্ছেে লাখ লাখ টাকা,এসব বে আইনি কাজের পর্দার অন্তরালে প্রধান আছে বলে ধারনা করছেন কিছু সচেতন অভিভাবকবৃন্দ। এ ধরনের বে আইনি কাজে প্রধান শিক্ষকেের কোন ভূমিকা চোখে পড়েনি বলে অভিযোগ করেছে বেশ কয়েকজন অভিভাবক।।
এছাড়া আরো জানা যায় সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করতে হলে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বাড়ী ভাড়া কাটতে হয় কিন্তু প্রধানসহ বেশ কয়েকজন সরকারি আবসনে থাকছেন কিন্ত ভাড়া কাটেন না বলে জানা যায়।বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করতে ভোলা সরকারি স্কুল অফিস সহকারী মোঃ স্বপনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান।
এ বছর এস এস সি পরীক্ষায় ফরম ফিলাপ করতে টেষ্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার অবশ্যকের বিষয়টি সরকারি নীতিমালায় থাকলেও, নিয়মনীতি মালা পরিপন্থী ভাবে ২২৫ শিক্ষর্থীর মধ্যে ২২৫ শিক্ষার্থীকে ফরমপূরন করেছে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন।
এস এস সি নির্বাচনী পরীক্ষায় মাত্র ৭৩ জন শিক্ষর্থী পাশ করলেও সকল শিক্ষার্থীদের ফরম পূরন করা হয়, যা সম্পূর্ণ বে আইনি ও নীতিমালা পরিপন্থী।
বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান ৬ থেকে ৭ বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদেরও ফরমপূরনের বিষয়টি হতাশাজনক এতে করে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলবে। আরো জানান, প্রধান শিক্ষক বেশির ভাগ কর্মদিবসে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টিও অতি আপত্তিকর। আমরা বিভিন্ন সময় অফিসের কাজে আসলে প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায় না।
অভিভাবকগন আরো জানান,উৎস পাল, দিবা শাখার একজন শিক্ষার্থী টেষ্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে নাই,তবুও তার ফরমফিলাম করেন প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার,বিষটি অতি হতাশা জনক।
মোবাইল ফোনে বক্তব্য জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না,পরক্ষণেই তার মুখমুখি হলে তিনি নানা অযুহাতে ফেল করা শিক্ষার্থীদের তথ্য দিতে ইচ্ছুক নয় বলে জানান, তিনি বলেন এ বিষয়ে আপনারা শ্রেনী শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করুন।
সাংবাদিকরা শ্রেনী শিক্ষক জামাল উদ্দিন ও নাজমুল হুদার কাছে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, ৪.৫.৬ বিষয়ে অকৃতকার্য সকল শিক্ষার্থী আমরা ফরমফিলাপ করেছি প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনায়,তবে তা বেআইনি ও নীতিমালা পরিপন্থী।
বিষয়টি নিয়ে এডিসি(শিক্ষা) কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকারি চাকুরীরত কেউ সরকারি নীতিমালা পরিপন্থী কোন কাজ করা সম্পূর্ণ বে-আইনি। এ বিষয়ে আমি ডিসি মহোদয়কে জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
বিষয়টি নিয়ে মাউশির মহাপরিচালকের সাথে কথা বললে তিনি জানান,আমি পরিচালক বরিশাল অঞ্চলকে বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা দিবো।
মাউশির বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক জানান,যে ছুটির আদলে প্রধান শিক্ষক কর্মস্থন পরিবর্তন করেছে,তা বে-আইনি, এ ধরনের ছুটিতে প্রধান শিক্ষককে অফিস খোলা রাখার বিধান রয়েছে।
ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এস এস সিভর টেষ্ট পরীক্ষায় ফলাফল ও নানা অনিয়ম এর আগে এতটা বিপর্যয় দেখা যায়নি বলে জানা যায়।।