মনজু ইসলাম ঃ
ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটে শত শত শ্রমিকের অবস্থান। লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতে উঠতে না দেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে এনসকল শ্রমিকরা।দেশের বেশ কিছু শিল্প ও পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটে কয়েকশ শ্রমিক অবস্থান নিয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের কারনে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে শ্রমিক। তারা সকাল থেকে ইলিশা ফেরিঘাটে এসে জড়ো হয়েছে। যাওয়ার জন্য লঞ্চ, সি-ট্রাক বন্ধ থাকায় ফেরিতে যেতে না পেরে ঢাকাগামী এ শ্রমিকরা ইলিশা ফেরি ঘাটে অবস্থান নিয়েছে।
একাধিক শ্রমিক জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে শিল্পকারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাল থেকে আবারও কিছু সংখ্যক কারখানা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাই কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ইলিশা ঘাটে এসেছে। নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় কর্মস্থলে যেতে পারছি না। এখন সরকার কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি কর্মস্থলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে না দেওয়া হয় তাহলে আমরা খুবই বিপদে পড়ে যাবো। সময়মতো যদি কর্মস্থলে যেতে না পারি তাহলে চাকরিতে যোগদানের ভোগান্তি পোহাতে হবে। মালিকরা বেতন কেটে রাখবে। ছেলে-সন্তান নিয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে।
এ বিষয়ে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান,সরকারের নির্দেশনার বাইরে কিছু করার নেই। ফেরিতে যাত্রী যেতে দেওয়া হবে না। ফেরিতে যাতায়েত সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে যেসব শিল্প কারখানা খুলেছে ওইসব শিল্প কারখানার মালিকরাই তাদের শ্রমিকদের নেওয়ার ব্যবস্থা করবে।