বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভোলার সাবেক এক পুলিশ সুপার ঢাকায় যাওয়ার পথে গ্রীন লাইনে এ জেলার একটি বড় দলের ছাত্র সংঘঠনের নেতার সাথে দেখা হয়। নেতা তখন পুলিশ সুপারের সাথে একটি সেলফি তোলার বায়না ধরেন। ভোলার সাবেক বর্তমানে রাজধানীর পাশের একটি জেলার মানবিক পুলিশ সুপার তার আবদার রক্ষায় একটি সেলফি নেন। কয়েক দিন পরে ওই সেলফি নেতা বর্তমান সরকার দলীয় একজন বড় নেতার স্ত্রীকে বাগিয়ে নিয়ে আসেন। তখনি শুরু হয় বিড়ম্বনা।ওই সেলফি নেতার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় ওই সেলফি নেতাকে গ্রেফতারের জন্য সাইবার ক্রাইম ও ভিকটিমের জেলার পুলিশ সুপার প্রযুক্তির সাহায্য নেন। অনেক ঘাটাঘাটি করে ওই জেলার পুলিশ সুপার একটি ক্লু খুজে পান। ক্লু টি হলো ওই পুলিশ সুপারের ব্যাচম্যাট ভোলার সাবেক পুলিশ সুপারের সাথে ওই সেলফি নেতার গ্রীন লাইনের সেই ছবিটি। তাতে প্রচুর পরিমানে বিব্রত হন ভোলার সাবেক ওই ডায়নামিক পুলিশ সুপার। আর সেলফিটি ফেইজবুকে পোষ্ট করায় খুব সহজেই পুলিশ খুজে পান ওই অপহরণকারী সেলফি নেতাকে। এই অনাকাঙ্খিত বিষয়টি সাবেক পুলিশ সুপার যখন ভোলা নিউজ সম্পাদককে বলছিলেন তখন তার হাস্যোজ্জল মুখখানি ক্ষনিকেই মলিন হয়ে যায়। তার এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য অনুতপ্ত হন ভোলার সাবেক পুলিশ সুপার। এ বিষয়ে ভোলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা জানান, অনলাইনের এ যুগে একটি সেলফি ই সামাজিক সমস্যার কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। তাই সেলফি তোলার আগে ভেবে নিতে হবে কার সাথে আপনি সেলফি তুলবেন?!!
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান