স্টাফ রিপোর্টার।।ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের এক স্বামী পরিত্যক্তা নারীর ভাইকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে সিআইডি অফিসার সেজে ওই নারী থেকে বিকাশ ও নগদে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের শাহে আলম মাঝির ছেলে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে।ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, অপরিচিতো একটি নাম্বার থেকে গত এক বছর পূর্বে আমার মোবাইলে একটি কল আসার পর আমার পরিচয় জানতে চায়, আমি আমার পরিচয় বিস্তারিত জানালে সে ফোন রেখে দেয়। এর পরের দিন আবারো কল দিয়ে আমাকে বলে তিনি সিআইডি পুলিশের বড় কর্মকর্তা, থাকেন বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় এবং বাড়ী ঢাকা সাভারের নবীনগর এলাকায়।এ ভাবে প্রতিদিনই আমাকে কল দিতে থাকে আমি প্রথমে কথা বলতে রাজি না হলে সে আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন কথা না বললে তোমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে।তার ভয়ে মাঝেমধ্যে তার সাথে ফোনে কথা বললে এক পর্যায়ে প্রতারক মাসুদ রানা আমার মায়ের সাথে কথা বলে এবং আমার মাকে সে মা ডাকে বলে যে আমার ছোট ভাইকে সরকারী একটি চাকুরী নিয়ে দিবে।চাকুরী দিতে হলে অফিসের স্যারদের ম্যানেজ করতে কিছু টাকা লাগবে বলে কয়েকধাপে বিকাশে ও নগদে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত এক মাস পূর্বে প্রতারক মাসুদ রানা বলেন অফিসের একটা ঝামেলার কারনে আমার এই মোবাইল সিমটা বন্ধ থাকবে এবং অন্য নাম্বারে তোমার সাথে যোগাযোগ করবো।কিন্তু এরপর থেকে প্রতারকের মোবাইল বন্ধ থাকায় আমি ঘটনাটি আমার মামাকে বললে তিনি ওই ছবি দেখে চিনতে পারেন যে এই প্রতারক শাহে আলম মাঝির ছেলে মাসুদ রানা।পরবর্তীতে আমার মামা স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন কে নিয়ে মাসুদের বাড়ীতে গেলে এই ফোন নাম্বার তার বলে স্বীকার করেছেন।টাকা দেওয়ার সময় আপনি কাউকে জানাননি কেনো জানতে চাইলে ওই নারী বলেন, আমাকে কাউকে বলতে নিষেধ করেছে মাসুদ, বলছে যে সিআইডি গোয়েন্দা বিভাগ যদি কেউ জেনে যায় তাহলে তার চাকুরীর সমস্যা হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত মাসুদের বাবা শাহে আলম মাঝি বলেন আমার বাসায় জাফররা এসে ঘটনাটি বলেছে এবং রাতে এসেছে তবে আমি এই ঘটনা শুনে মিথ্যা একটা চাঁদাবাজি মামলা করেছি, এখন ফয়সালা হলে মামলা উঠিয়ে নিবো।অভিযুক্ত মাসুদ ওই নারীর সাথে মোবাইলে অজ্ঞাত পরিচয়ে কথা বলার কথা স্বীকার করেছেন তবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বলেন ঘটনাটি আমি শুনেছি, ঢাকা থেকে এসে ফয়সালা করে দিবো বলছি কিন্তু শাহে আলম মাঝি স্থানীয় কয়েকজনের নামে একটি চাঁদাবাজি মামলা দিয়েছে শুনেছি।