পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকীর ফার্মগেট এলাকায় পাচ বছরের শিশু সায়েমকে গাড়ী চাপা দিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যাবার সময় পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম মুন্নাকে তার ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারসহ আটক করেছে দুমকী থানা পুলিশ। গুরুতর জখম অবস্থায় সায়েমকে পটুয়াখালী নুর জেনারেল হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির বাম পায়ের হাড্ডি পুরোপুরি ভেঙ্গে গেছে বলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ সেলিম মাতুব্বর নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে আহত শিশু সায়েম অচেতন অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যে তার সিটি স্কেন করা হয়েছে। সিটিস্কেনের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তার অবন্থার কথা বলা যাচ্ছেনা বলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ সেলিম মাতুব্বর জানান। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে দুমকী উপজেলার রাজাখালী বাজারের ফার্মগেট স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। আহত সায়েমের বাবা সালাম শরীপ জানান, ঘটনার সময় নিজ বাড়ী থেকে সায়েম তার মা সালমা বেগমের সাথে নানাবাড়ী যাচ্ছিল। এ সময় দ্রুত গতিতে বাউফল উপজেলা থেকে আসা ঢাকা মেট্রো গ ৩১~৩০০৪ নম্বরের প্রাইভেট কারটি সায়েমকে চাপা দিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয়রা দুমকী পুলিশকে খবর দিলে দুমকী থানার এসআই সঞ্জিব প্রায় আধা ঘন্টা ধাওয়া করে পটুয়াখালী টোল ঘর এলাকা থেকে গাড়িটি আটক করে। এসআই সঞ্জিব জানান, এসময় গাড়িটির চালকের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী পরিচয় দেন। পরে এসআই সঞ্জিব উর্দ্ধতন কর্তুপক্ষের নির্দেশে গাড়ীসহ ওই উপসহকারী প্রকৌশলীকে দুমকী থানায় নিয়ে যায়। দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান জানান, শিশু সায়েমের মা সালমা বেগম বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দাখিল করেছে তার প্রেক্ষিতে গাড়ীসহ উপসহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম মুন্নাকে আটক দেখানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গাড়িটি ব্যক্তিগত হলেও গাড়ীর সামনে এবং পিছনে সড়ক ও জনপদের স্টীকার লাগানো আছে। খবর পেয়ে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন আহত শিশুকে নুর জেনারেল হসপিচালে দেখতে গিয়ে জানান, আইনঅনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।