মোঃ সোহাগ হোসেন ঃ
পটুয়াখালীতে আবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার বিকালে আহত শিক্ষকের বড় ভাই আঃ মতিন মাষ্টার বাদী হয়ে মোঃ শহিদুল ইসলাম( ২৫) কে প্রধান আসামি করে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। মামলা নং- সি.আর -৩৭০/২০। মামলা সূত্রে জানাযায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নের মৃত হাজী বাকে আলী হাওলাদারের ছেলে আঃ লতিফ মাষ্টার অ্যাপেনডিস, হারনিয়া এবং মেরেুদন্ড অপারেশন করায় শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকায় শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে খাটাশিয়া বাজারে বইয়ের দোকান সহ ষ্টেশনারী দিয়ে ব্যবসা করেন। কিন্তু কিছু দিন পূর্বে স্থানীয় কিছু বখাটে প্রকৃতির লোক আঃ লতিফ মাষ্টারদের জমিতে জন্মানো গাছপালা ফল ফলাদি জোরপূর্বক নিয়ে গেলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শাকিশ করিলে ক্ষিপ্ত হইয়া তাকে দা বগি দিয়ে আঘাত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে ও ভিকটিম আঃ লতিফ মাষ্টারের বক্তব্যে জানা যায়, উপরোক্ত আসামীরা এলাকায় দস্যুপ্রকৃতির লোক। তারা আইনের কোন তোয়াক্কা করে না। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামীরা ঘটনার দিন আঃ লতিফ মাষ্টারের উপর জনতাবদ্ধ হয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে রক্তাক্ত ও নীলা ফুলা জখম করে এবং তার সাথে থাকা ব্যবসার আশি হাজার টাকা এবং দশ হাজার টাকার মূল্যের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আঃ লতিফ মাষ্টারের ডাকচিৎকার শুনে তার ভাই এবং অন্যান্য স্বাক্ষীগণ এসে তাকে উদ্ধার করে গুরুত্বর আহত অবস্থায় পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতলে ভর্তি করেন। বর্তমানে আঃ লতিফ মাষ্টার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বলেন, মামলার ৩নং আসামী সুলতানের নামে ডাকাতি ও চুরির একাধীক মামলা রয়েছে এবং ২নং আসামী সেলিমের মেয়ে নাজমা ও তার স্বামী মনির ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত যা এলাকার লোকজন জানে। এ সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িত সকল আসামীদের দ্রত গ্রেফতার করে বিচারের দাবী জানান চিকিৎসাধীন আঃ লতিফ মাষ্টার ও তার পরিবার।