নেএী আমাদের ক্ষমা করুন -তরিকুল ইসলাম কায়েদ

নিউজ ডেস্কঃ

ভোলা নিউজ-০২.০৬.১৮
ভোলা জেলা যুবদলের কমিটি ঘোষনার পর নেতাকর্মীরা ভীর জম্মায় সাবেক যুবদলের আহবায়ক তরিকুল ইসলাম কায়েদ এর বাসায়, এর পরেই রাতে তিনি ফেইসবুকে নিম্মের পোষ্টটি দিন।

এই মুহুর্তে মনে হচ্ছে, আমার কখনো কোন অস্তিত্ব না থাকতো,
আমার অবয়বের খাঁচায় আমার আত্মাকে নিয়ে পৃথিবীতে আমি বলে কোন সত্তা না থাকতো…….

আমি যতটা না আমায় নিয়ে ভাবছি তার চেয়ে অনেক বেশী আমায় ভাবাচ্ছে আমার প্রিয় দল ও তার আগামী ভবিষ্যৎ নিয়ে। কি হবে এই ঠুনকো বক্তৃতা গলাবাজি করে। মুখে যে আদর্শ ত্যাগের কথা চিৎকার দিয়ে বলছি। বাস্তবে তার কতটুকু মূল্যায়ন করতে পারছি। আর কতটা অবমূল্যায়ন করছি ভেবেছি কি কখনো। প্রায় দুই যুগের বেশী সময় ধরে যে রাজনৈতিক দলের কর্মী হয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আজ আমার এবং আমার মত শহীদ জিয়ার অন্ধ অনুসারীদের সাথে আপনারা যারা আমাদের নেতৃত্ব দেয়ার জায়গায় বসে যে সিদ্ধান্ত দিলেন সেটির মূল্যায়নের ভার আমি ভোলার রাজনৈতিক সচেতন মহলের উপর ছেড়ে দিলাম। আমি যতটা না নিজে হতাশ হয়েছি তারচেয়ে অনেক বেশী হতাশ হচ্ছি আমার প্রিয় দলটার সামনের দিনগুলোর কথা ভেবে। তাহলে কি সব ক্ষেত্রেই আমাদের ঘুনে ধরেছে। বাইরে সবাই যা বলছে সব সত্য প্রমান হয়ে যাচ্ছে। নেত্রী কে কারাবন্দী রেখেও আপনারা আপনাদের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত। একদিকে একটি অংশ দিনের পর দিন হামলা মামলায় জর্জরিত। আর অন্যদিকে একটি সুবিধাভোগী দল পায়ের উপর পা তুলে আয়েশী জীবন নিয়ে ব্যস্ত। আজ আপনারা সেই সুবিধাভোগীদের হাতে দল রক্ষার যে মহান দায়িত্ব তুলে দেয়ার কথা বলছেন।এর দ্বারা আপনারা আগামী দিনের কর্মীদের কাছে কি বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন একটুও কি ভেবেছেন। এই দল বেঈমান তাঁবেদার দের জন্য। এটিই প্রিতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছেন। হায়রে আমার দল। নেত্রী আমাদের ক্ষমা করুন। আমরা এই নেতৃত্ব নিয়ে আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবোনা।আমাদের বোধহয় বাইরের শত্রু ধ্বংসের আগে ঘরের শত্রু শেষ করতে হবে।

সব কিছুরই যে পজেটিভ নেগেটিভ দুটো দিক আছে।
কোন হতাশাই যে অসীম নয়, একসময় সেটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব সেটা আমি জানি।
তবু কখনো অনুভব না করা এই ভয়ংকর হতাশার অনুভূতিতে বিপর্যস্ত আমি।
কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়,
আমি জানিনা। ভাল থেকো প্রিয় দল। ভাল থেকো সবাই।
লেখক : ভোলা জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক

SHARE