আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষে শুনানি করেন এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
একই সঙ্গে এ মামলার কার্যক্রমের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিলেও এই মামলায় নিয়মিত জামিনে রয়েছেন বলেও ভোলা নিউজকে জানিয়েছেন হাফিজ ইব্রাহিম।
জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ১৩ জুন ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মনিরাম বাজার সংলগ্ন হাফিজ ইব্রাহিম মহাবিদ্যালয় নির্মানের সময় লাগানো ১০০ বান্ডেল ত্রাণের টিন উদ্ধার করে যৌথবাহিনী।
বোরহান উদ্দিন উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওই দিনই দুই জনকে আসামি করে বোরহান উদ্দিন থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক রামমোহন নাথ ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। অভিযোগ পত্রে হাফিজ ইব্রাহিম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ স্থানীয় বিএনপি নেতা এস এম গজনবী, স্থানীয় চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, হাফিজ ইব্রাহিম ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন শাহজাহানকে আসামি করা হয়। মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে থাকা অবস্থায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর মো. হাফিজ ইব্রাহিম হাই কোর্টে একটি আবেদন করেন। তার বিরুদ্ধে মামলার অংশটি বাতিল করে অব্যাহতির আবেদন জানানো হয় সেখানে।
ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট সে সময় রুল জারির পাশাপাশি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়।ওই রুলের ওপর শুনানি শেষে রোববার হাই কোর্ট রুল খারিজ করে রায় দেন।
এদিকে এই মামলার আদেশের পর ভোলায় হাফিজ ইব্রাহিমের নির্বাচন করা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হলে এ নিয়ে ভোলা নিউজের সাথে খোলা মেলা কথা বলেন হাফিজ ইব্রাহিম। তিনি বলেন, এই মামলায় আমি নিয়মিত জামিনে আছি। ধানের শীষের পক্ষে নমিনেশন সাবমিটের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পর্ন করেছি। ভোলাবাসি আমাকে যে ভাবে ভালোবাসে ও আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষানীত হয়ে আমার বিরোধী দল ভোলার সহজ সরল মানুষদের ভুল বুঝাচ্ছেন। মনোনয়ন জমা দিয়ে ভোলায় আসলেই দ্রুত সকল অপপ্রচারের অবসান হবে।