বিশেষ প্রতিনিধিঃ নাবিল আলোচিত এক ছাত্রলীগ নেতা। ঢাকার বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় কেউ বলছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আবার কেউ বলছেন তিনি আত্নহত্যা করেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্টই সকল রহস্যের জট খুলবে বলে মনে করছেন সবাই। হত্যার কথা বলছেন এ কারণে নাবিল বোরহানউদ্দিনের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিন হায়দারের সন্তান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। তবে গত করোনার সময় সাংবাদিক পিটিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। বাবার রাজনৈতিক বা সামাজিক প্রতিপক্ষ থাকায় এমনটা মনে করছেন কেউ কেউ। তারা আবার দাবীও করছেন মৃত্যুর আগে ফেইজ বুকে “বিদায়’ লিখে আত্নহত্যার ঘটনাটা লোক দেখানো। হয়তো হত্যাকারিরা ই খুনের পূর্বে তাকে এই স্ট্যাটাস টি দিতে বাধ্য করেছেন, হত্যার ঘটনা আত্নাহত্যা বলে চালিয়ে দিতে।তবে অনেকে বলছেন গত করোনার সময় প্রকাশ্যে সাংবাদিক সাগরকে পেটানোর ঘটনাটি ভাইড়াল হওয়ার পর তার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বন্ধু-বান্ধবি তাকে পরিত্যাগ করলে তিনি খুব একা হয়ে যান, সেই থেকে তিনি মানুষিক যন্ত্রনায় এবং সামাজি ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্নহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন এ নাবিল হায়দার।ছাত্রলীগের এই নেতার মৃত্যু নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। কেউ বলেছেন নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেছেন আবার কেউ বলছেন হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। কোনটা সঠিক স্বাভাবিক মৃত্যু না আত্মহত্যা, অন্যদিকে টেলিভিশনে প্রচার হচ্ছে নাবিলের খিলগাঁও এর বাসা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবার কেউ বলছেন হৃদযন্ত্রের ক্রিড়া বন্ধ হয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেরে মৃত্যু বরণ করেন।অন্যদিকে নাবিলের বাবা বোরহানউদ্দিন উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি। রাজনৈতিক হত্যাকান্ডর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়নি তো নাবিল কে। এরকম নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ভোলার মানুষের মনে।এদিকে নিজের ফেসবুক পেইজে ‘বিদায়’ লিখে আত্নহত্যা করে না ফেরার দেশে নাবিল।গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল ) রাতে রাজধানীর একটি ভাড়া বাসায় আত্নহত্যা করেছেন বলে এমনটি শোনা যাচ্ছে।তবে তার পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এই গুঞ্জনের সমাধান হচ্ছেনা এমনটাই মনে করছেন পুলিশ প্রশাসন। তবে হত্যা আত্নহত্যা যাহাই হোক আর আত্নহত্যা হলেও কেন এই আত্নহত্যা? দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই সকল প্রশ্নের প্রকৃত রহস্য উৎঘাটনের দাবী ভোলার সাধারন মানুষের।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান