ভোলা নিউজ ক্রাইম ডেস্কঃলালমোহনের পাগলও বিশ্বাস করেনা বিএনপি নেতা নসু’র কাছ থেকে অস্ত্রো উদ্ধারেরর কাহিনী। দলীগৌরনগর ও লালমোহনের অনেকেই মনে করেন বেচে থাকলে এই অস্ত্রো উদ্ধার কাহিনী শুনে ঝুমুর পাগলিও হাসতো।৯ জুলাই ২০২২ তারিখে ভোলা পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হলো লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাকসুদুর রহমান মুরাদ ৯ জুলাই ভোর অনুমান ৫ টা ৫ মিনিটে লালমোহন থানা এলাকায় মাদক, অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান পরিচালনাকালে এসআই মোঃ আবুল কালাম এর নেতৃত্বে সংগীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় লালমোহন থানাধীন ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন ০২নং ওয়ার্ডস্থ উত্তর ভেদুরিয়া সাকিনে কুলচরা স্কুলের মোড় হইতে সন্দেহ জনকভাবে পালানোর সময় আসামী মোঃ দেলোয়ার হোসেন নসু (৫২), সাং-উত্তর ভেদুরিয়া ০২নং ওয়ার্ড, থানা-লালমোহন, জেলা-ভোলাকে গ্রেফতার করিয়া আসামীর দেওয়া তথ্য মতে উল্লেখিত ঘটনাস্থল সংলগ্ন জনৈক ইউনুচ মোল্লার পরিত্যক্ত ঘরের সামনের বারান্দায় পুরাতন খড়ের স্তুপের মধ্যে একটি সিমেন্টের প্লাষ্টিকের বস্তার বাজারে ব্যাগের ভিতরে রক্ষিত একটি দেশীয় তৈরি লোহার পিস্তল সদৃশ ওয়ান শ্যুটার গান, এবং ০৩ রাউন্ড গুলি (পুরাতন) উদ্ধার করা হয়।পুলিশ আরো জানায়, আসামী উক্ত অস্ত্র ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল।আসামীর পিসি/পিআর যাচাইকালে দেখা যায় আসামীর বিরুদ্ধে ০৩টি চাঁদাবাজি সহ মোট ০৮টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আসামী একজন পেশাদার অপরাধী। তার সঙ্গে এক বা একাধিক আসামীর জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আসামীর দেওয়া তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতঃ জড়িত অন্যান্যদের সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।কিন্তু লালমোহন থানা পুলিশ এটা জানায়নি যে, নসু মিয়া ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক এবং ওই ইউনিয়ন থেকে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছেন। আর এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওনের আমলে লালমোহনে বিএনপি নেতা অস্ত্রো নিয়ে চাঁদাবাজি করবেন এমনটা কাউকে বিশ্বাস করাতে পারবেন লালমোহন পুলিশ।
বিএনপি নেতা নসুর আত্নীয়রা জানান, তিনি আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করার পর থেকে তিনি নানা ধরনের হুমকি ধামকি থেকে বাঁচতে ঢাকায় থাকতেন। ছেলে মেয়েদের সাথে ঈদ করার জন্য লালমোহনে এসেছেন। ঘটনার দিন রাত ৩টার সামন্য আগে তাকে পুলিশ ধরে লালমোহন থানায় নিয়ে যায়। পরে সকালে তাকে অস্ত্রো দিয়ে চালান দিয়েছে পুলিশ। লালমোহনের রাজনৈতিক দলের বহু নেতাকর্মীরা জানান, নসুর মত লোককে অস্ত্রো দিয়ে চালান দিবে এটা আমরা কখনো চিন্তাতো দুরের কথা কল্পনাও করতে পরিনি। যাইহোক ভোলার পুলিশ সুপার অনেক ভালো মানুষ তিনি এটা খতিয়ে দেখবেন। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন ধলীগৌরনগর একটি নদী অধ্যুসিত এলাকা এখানে জলদস্যুদের অভায়রণ্য। এখানকার অস্ত্রোধারীদের নাম কমবেশি ভোলার সকলে জানে ও চিনে। বিএনপি নেতা নসুকে যারা চিনে তারা কখনো কেউ তাকে অস্ত্রোধারী হিসেবে মানতেই চাইবেনা। তবে এলাকার অনেকে বলেছেন নসু লালমোহনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশি ইঞ্জিনিয়ার নোমান এর ঢাকার একটি ফার্মের দেখাশুনা করতেন বলেই লালমোহনে আসার খবর পেয়ে তাকে ধরে এনে এধরনের অস্ত্রের নাটক বানিয়ে চালান করেছেন। তবে তারা সকলেই ভোলার পুলিশ সুপারের উপর আস্থা রেখে বলেছেন পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম নিজে খতিয়ে দেখলেই সত্য ঘটনা উৎঘাটিত হয়ে যাবে। এদিকে বিএনপি নেতা নসুর কাছ থেকে অস্ত্রো উদ্ধার নিয়ে লালমোহনে কাজ করছে ভোলা নিউজের একাদিক ক্রাই রিপোর্টার। আমরা প্রকৃত ঘটনার খবরের ভিতরের খবর পৌঁছে দেবো আপনাদের কাছে।