স্টাফ রিপোর্টার: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দৌলতখানের মদনপুরের মাঝের চরের পাটওয়ারি বাজারে এক পল্লী চিকিৎসকের নামে মিথ্যা শ্রীলতাহানির চেষ্টার অপবাদ রটিয়ে ফার্মেসিতে হামলা, ভাংচুর ও লুটের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডেও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মিনারা বেগমের প্রত্যক্ষ ইন্দনে এই ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে ।
স্থানীয় সুত্রে যানা যায়, মদনপুর ইউনিয়নের পাটোয়ারি বাজারের প্রতিষ্ঠাতা লুৎপর রহমান পাটোয়ারির দোকান ঘরের ভাড়াটিয়া পাটোয়ারী বাজারের পল্লী চিকিৎসক তপন মজুমদারের সাথে দোকানের পাশে পানের দোকান দেওয়ার জন্য স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইব্রাহিমের সাথে জনৈক চৌধুরী নামক ব্যাক্তির ঝগড়া হয়। তপন মজুমদার এ বিষয়ে ইব্রাহিম কে সমর্থন দেওয়ার কারনে চৌধুরীর সাথে তপন ডাক্তারের মনমালিন্য হয়। চৌধুরীর সাথে পাটওয়ারি বাজারের প্রতিষ্ঠাতা লুৎফর রহমান পাটওয়ারির স্ত্রী বর্তমান ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মিনারা বেগমের সাথে দহরম মহরম থাকায় মিনারা বেগম এ বিষয়ে নাক না গলানোর জন্য পল্লী চিকিৎসক তপন মজুমদার কে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে । এ ঘটনার কয়েকদিন পরে মিনারা বেগমের সাথে লাউ গাছ নিয়ে তপন মজুমদারের ঝগড়া হয়। এ বিষয় নিয়ে মিনারা বেগম ও চৌধুরী বিভিন্ন সময় তপন মজুমদারকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানির চেষ্টা করত।
গত সোমবারে বিকেলে বেলা লুৎফর রহমান পাটোয়ারির পুত্রবধু জয়নব বিবি পলীø চিকিৎসক তপন মজুমদারের ফার্মেসিতে আসে এবং চিকিৎসার জন্য সময় করে তার বাসায় যেতে বলে। ঐ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে স্থানীয় শাজহানের স্ত্রীকে ইনজেক্সসন করার জন্য শাজাহানের বাসায় যায় । শাজাহানের বাসা থেকে ফিরার পথে তপন মজুমদার মিনারা বেগমের ছেলে সোহেলের স্ত্রী জয়নবের চিকিৎসার জন্য সোহেলের বাসায় যায়। এ সময় সোহেলের স্ত্রী জয়নব ঘুমন্ত থাকার কারনে তপন ডাক্তার পুনরায় ফিরে আসে। পথে রাতের আধারে চৌধুরী, তপন ডাক্তারের গতি রোধ করে উত্তেজিত হয়ে অনৌতিক কাজ করতে সোহেলের ঘরে গিয়েছে বলে চিৎকার করে এবং লোকজন জড়ো করে। স্থানীয়রা এসে ঘটনা শুনে তপন ডাক্তারকে র্নিদোষ বলে দোকানে পৌছে দেয়। পরে স্থানীয়রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নান্নু ডাক্তার কে জানালে তিনি ঘটনার সমাধান করবে বলে জানান ।
এ দিকে চৌধুরী ও মিনারা বেগম মিথ্যা ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে কোন লাভ না হওয়ায় পরের দিন মঙ্গলবার বিকালে চৌধুরী ও মিনারা বেগমের নের্তত্বে তুলাতুলি – পাটওয়ারি বাজার নৌকার মাঝি কামাল সহ প্রায় ৫০/৬০ জন লোক তপন মজুমদারের দোকানে হামলা চালায়। এ সময় কামাল সহ সন্ত্রাসীরা তপন মজুমদার কে মারধর, দোকান ভাংচুর ও দোকানে থাকা নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে মদনপুর ইউনিয়নের চৌকিদার হেলাল, লোকমান, জাহাঙ্গির সহ স্থানীয়রা এসে তপন মজুমদারকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে ।
স্থানীয় কয়েক জন দোকানদার জানান , তপন ডাক্তারের সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মিনারা বেগম ও চৌধুরী মিলে তপন ডাক্তার কে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মিথ্যা অপবাদ দেয়।
মিনারা বেগমের পুত্র বধু জয়নব জানান , আমি বিকেলের দিকে তপন ডাক্তারের দোকানে গিয়ে আমার অসুস্থতার কথা বলে তাকে আমার বাসায় আসতে বলি। সন্ধ্যার পর তিনি বাসায় আসে । তখন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। পরে লোক জনের ডাকাডাকিতে ঘুম থেকে উঠে অনেক লোকজনকে আমার বাড়ির কাছে জড়ো অবস্থায় দেখতে পাই।
স্থানীয় চকিদার হেলাল ও লোকমান জানান ,ঘটনা শুনে আমরা ঘটনা স্থলে যাই । পরে পাশের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোশারেফ পন্ডিত এবং ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফারুক দৌলত ঘটনাস্থলে আসে এবং ঘটনা শুনে তপন ডাক্তারের কোন দোষ না পাওয়ায় তপন ডাক্তার কে তার র্ফামেসিতে পাঠিয়ে দেয় । পরের দিন রাতে চৌধুরী কয়েকজন লোক নিয়ে তপন ডাক্তারের দোকানে হামলা করে । পরে আমরা কয়েকজন চৌকিদার মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি ।
এ ব্যাপারে ১নং মদন পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন আমি ঘটনাটি শুনেছি , ১ সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করার কথা বলেছিলাম, কিন্তু পরের দিন কয়েকজন মিলে তপন ডাক্তারের দোকানে গিয়ে ভাংচুরের চেষ্টা করলে আমার পরিষদের চৌকিদার গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। কয়েক দিনের মধ্যে বিষয়টিকে সমাধান করবেন বলে তিনি জানান।