দৌলতখানে নবম শ্রেনীর ছাত্রীর ইজ্জতের দাম ত্রিশ হাজার টাকা

রোমানুল ইসলাম সোহেব-ভোলানিউজ.কম,

মোবাইল ফোনে পরিচয়। তারপর ধীরে ধীরে এগোতে থাকে সম্পর্ক, কিছুদিন পরেই সেই সম্পর্ক রুপ নেই প্রেম পর্যন্ত। সেই সূত্র ধরেই ঘরে ঢুকে বিয়ের প্রলোভনে ১বছর দৈহিক মেলামেশা করেছে হাফিজুর রহমান নামে এক যুবক। আর এমন অভিযোগে ওই প্রেমিক যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা,

প্রেমিকা অভিযোগ করে বলেন, প্রেমিক হাফিজুর রহমান তার মামতো ভাইর বন্ধু । সেই সুবাদে সে প্রায় তার বাড়িতে আসত। একপর্যায়ে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি রাতে প্রেমিক হাফিজুর রহমান তার মামতো ভাইর বাড়িতে ছিল। সেদিন রাতে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ,রাত ১২টার দিকে সে প্রেমিকা জুইর শোবার ঘরে ঢুকে প্রথমে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। একই ভাবে চলতি বছর ৩০জুন পর্যন্ত প্রেমিক হাফিজুর রহমান তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় দৈহিক মেলামেশা করেছে বলে ও জানা যায়।।

ঘটনাটি ঘটে,দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের কলাকোপা গ্রামের ১ নং ওর্য়াডের শাহাবুদ্দিনের মেয়ে জুইর সাথে,জুই দৌলতখান ইতিম খানা আলিম মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রী। তার সাথে র্দীঘ এক বছর পুর্বে তজুমদ্দিন সোনাপুর ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল বাসার পাটওয়ারীর ছেলে হাফিজুর রহমানের সাথে সম্পর্ক হয়, বিয়ের প্রলোবন দেখিয়ে জুইকে একাদিক বার দৈহিক মেলামেশা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এর পর গত ৩০ শে জুন রাতে হাফিজুর রহমান মেয়ের মামাতো ভাই আব্দুল মন্নানের বাসায় আসে তখন আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিক প্রেমিকাকে পাওয়া যায়,পরে স্থানিওরা তাদের কে আটক করে থানায় প্রেরণ করে।

এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ এনায়েত হোসেন জানায় ,তাদের উভয়ের কথা শুনে দুই পক্ষের অভিবাবকের নিকট বিয়ের আদেশ প্রদান করে তুলে দেন।

অন্যদিকে রাত ১১টায় , একটি প্রভাবশালী মহল তাদেরকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কনের পক্ষকে বিয়ের সকল খরচ বহন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। কনের পক্ষের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল না থাকায় তারা বিয়ের সকল খরচ বহন করতে রাজি হন নাই। এর পর কনের পক্ষকে ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি ধাপা চাপা দেওয়া হয়।হাফিজুর রহমান ঢাকা মোহাম্মদপুর এক মসজিদের ইমাম বলে জানাযায়।

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১জুলাই-২০১৮ই)

SHARE