মনজু ইসলাম।। ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নে চলতি বর্ষা মৌসুমে তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে।ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট থেকে চর চটকিমারা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙন চলছে। এতে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদীর পাড়ের বাসিন্দারা । শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে গেলে কোথায় আশ্রয় নেবেন এমন চিন্তার ছাপ তাদের চোখ।চলতি বর্ষায় ভাঙন ঠেকানো না গেলে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙনের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।গত কয়েক বছর ধরে ভোলা সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাট, চর চটকিমারা ও মাঝিরহাট পয়েন্টসহ বিভিন্ন এলাকা দিয়ে তেঁতুলিয়ার ভাঙন চলছে।এতে করে বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ঐতিহ্যবাহী ভেদুরিয়া ইউনিয়নকে রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর।এলাকাবাসী জানান,দেড়যুগের বেশি সময় ধরে তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া পয়েন্টে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। নদী ভাঙ্গার কারণে দিন দিন এলাকা ছোট হয়ে যাচ্ছে। এই এলাকার সাধারণ মানুষ হারিয়েছে তাদের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। কেউবা আবার সহায় সম্পত্তি হারিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।তারা আরও বলেন,২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি। তবে আবার জাতীয় নির্বাচন গনিয়ে এসেছে।তেঁতুলিয়ার ভাঙ্গন রোদে সংসদ সদস্য কিছুই করতে পারেননি। এতে করে এই এলাকার বাসিন্দাদের মনে চরমভাবে চাপা খুব বিরাজ করছে।গত বর্ষায় ভাঙ্গন শুরু হলে ব্লকের দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। মানববন্ধন সহ একাধিক নিউজ প্রচার করলেও ভাঙ্গন রোধে তেমন ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। যার ফলে অনেক স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এ অবস্থা চলমান থাকলে অচিরেই লঞ্চঘাট, মাঝিরহাট গ্যাস কূপ, ব্যাংকেরহাট বাজার, মডেল মসজিদ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙনের মুখে পড়বে।ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া বেসিনে ফিজিউবিলিটি স্ট্যাডি বা সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে, এ কাজ শেষ হলেই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি, যদি জরুরি প্রয়োজন হয় তাহলে ব্যবস্থা নিতে পারবো।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান