কাগজ প্রতিবেদক।।মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। ভোলার মানুষ তাকে আসাদ মিয়া হিসেবেই চিনতো। মাওলানা তোফায়েল আহমেদের সন্তান। বাবা ভোলা মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে তিনিও ফাজিল পাস করেন ভোলা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে।ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন আসাদ মিয়া। ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের সকল দুর্দীনের পরিক্ষিত নিবেদিতপ্রাণ অকুতভয়ী সিপাহসালার ছিলেন এই সাহসী মানুষটি। জননেতা তোফায়েল আহমেদের প্রায় উল্লেখযোগ্য নির্বাচনেই তিনি অর্থনৈতিক খ্যাতের দায়িত্ব পালন করতেন অত্যান্ত বিশ্বস্ততার সাথে। যার ফলে আপারেশন ক্লিনহার্টের সময় এই মানুষটিকে অত্যন্ত জঘন্য ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে। তোফায়েল আহমেদ সমন্ধে একটা ফালতু স্বীকার উক্তি তো দুরের কথা একটা কথাও বের করতে পারেননি তৎকালীন প্রশাসন। যার ফলস্রুতিতে হাসি মুখে বরণ করে নিয়েছেন লোমহর্ষক শারিরিক নির্যাতন। সেই নির্যাতনের ক্ষত বহন করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন এই মানবতাবাদি আওয়ামী নেতা। গত কাল ১৯ জুলাই ছিলো এই নিবেদিত প্রাণ আওমী নেতার মৃত্যুবার্ষিকী। ভোলা জেলা আওয়ামীলীগ হয়তো ভুলেই গেছেন এই মানুষটির মৃত্যুবার্ষিকিতে একটা মিলাদ পড়াতে। ভোলার আওয়ামীলীগ মোফাজ্জল হোসেন শাহিন সহ অনেকের মৃত্যুবার্ষিকি যেভাবে ভুলে যায়, একদিন হয়তো আজকের জীবত নেতাদেরই ভুলে যাবে তখনকার বেঁচে থাকা নেতারা।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান