দুর্গন্ধের নগরি ভোলা

এম রহমান রুবেল/জামিল হোসেনঃ

বাংলার সর্বাধুনিক পৌরসভা এখন দুর্গন্ধের নগরিতে পরিনত হয়েছে। ময়লার স্তুপে পরিনত হয়েছে শহরের অলি গলি। বাজার করতে কেউ ডুকতে পরছেনা নবনির্মিত কিচেন মার্কেটে। বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়ায় ময়লার ভিতর পরতে হচ্ছে পথচারিদের। এছাড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র ওয়েষ্টার্ন পড়ায় কয়েকটি দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে চরম বিপাকে স্লিকন ভ্যালির পৌরবাসিন্দারা।

দুই গ্রুপের দন্দে এই নাকাল অবস্থা হয়েছে পৌর বাসির। কর্মচারী গ্রুপ আর কাউন্সিলর গ্রুপের দন্দে ৪ দিন যাবৎ পৌরবাসির সকল সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন পৌর কর্মচারীরা। তাদের দাবী কাউন্সিলররা তাদের সাথে অসৌজন্য মূলক ব্যবহার করছেন অপর দিকে কাউন্সিলর গ্রুপের প্যানেল মেয়রের দাবী কর্মচারীরা সাবেক কর্মকর্তাদের চুরিতে সাহায্য করছেন। এই দুই গ্রুপের দ্বন্ধে পৌরসভার সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্ধ করে দেয়ে হয়েছে সকল নাগরিক সুযোগ সুবিদা। এতে ভোলা শহর দুর্গন্ধের শহরে পরিনত হয়েছে। রাতে বাতি না জ্বলায় মার্কেটসহ পৌর এলাকা ভুতরে এলাকায় পতিত হয়েছে। মানবেতর জীবনযাপন করছেন পৌর বাসিন্দারা।
ভোলা পৌরসভার সকল সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন ভোলা পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি মীর আলাউদ্দিন। নাগরিক সেবা বন্ধ থাকায় পবিত্র রমজানে মানবেতর অবস্থায় পরেছেন ভোলার পৌর নাগরিকরা। বৃহস্পতিবার (৯মে) সকাল থেকে ভোলা পৌরসভার সকল কার্যক্রম এবং নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ভোলা পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন এর সভাপতি মীর আলাউদ্দিন নোটিশের মাধ্যমে জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পৌরসভা পরিদর্শণকালে পৌরসভার ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা, পৌর প্রশাসন পরিচালনায় কতিপয় কাউন্সিলরের অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অসদাচরণ এর প্রতিবাদে পৌরসভার সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হইয়াছে।
এদিকে ভোলা পৌরশহর এবং সকল সড়কের লাইটিং গতকাল সন্ধ্যা থেকে বন্ধ দেখা যায়। এতে চরম আকংকে রয়েছে পৌর নাগরিকরা। এছাড়ও ময়লা আবর্জনা পরিস্কার না করায় সাজাঁনো শহরটি দুগর্ন্ধের শহরে পরিনত হয়েছে।

এব্যাপারে ভোলা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ মঞ্জুরুল আলম জানান, সচিবের রুম থেকে একটি এসি চুরি হয়েছে। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেছি এসি চুরির অভিযোগে। সচিব মামলা করেনি এজন্য সচিবকে রাগ করেছি। তারপর এসি চুরির অভিযোগে আমি বাদি হয়ে মামলা করেছি। এতে কর্মচারীরা ক্ষিপ্তহয়ে সকল প্রকার সেবা বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, এসিটি নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু তিনি নিজের অর্থ দিয়ে কিনেছিল।চুরি হয়নি তার এসি, সে খুলে নিয়ে গেছে। এছাড়া আমি আর কিছু জানিনা।

ভোলা সচেতন নাগরিক পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও চেমাবার অব কমার্সের পরিচালক সফিকুল ইসলাম সফি জানান, পবিত্র রমজানে পৌর বাসির সেবা বন্ধ করে দিয়ে পৌর কর্মচারিরা প্রকৃত মানবতা বিরোধী অপরাদ করেছে। এধরনের অমানবিক ভোগান্তির দ্রুত সমাধানের সাথে সাথে যে সকল কর্মচারিরা বর্তমান জনবান্ধব সরকারের সুনাম নষ্ট করতে বিনা উস্কানিতে পরিকল্পিত ভাবে সেবা বন্ধ করে দিয়েছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যাবস্থা নেয়ার দাবিও জানান তিনি।

নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, আমি নুতন যোগদান করে ছুটিতে রয়েছি। দুই গ্রুপের দন্দের খবর পৌর সহকারি ইঞ্জিনিয়ার রাসেল সাহেবের কাছ থেকে শুনেছি। আমি এসে দন্দ মিটানোর জন্য সকলকে নিয়ে কাজ করবো।

SHARE