অনলাইন ডেস্কঃ
ভোলা নিউজ-১৬.০৪.১৮
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আন্দোলনে অংশ নেয়া যে সকল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে আগামী দুই দিনের মধ্যে সেগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না হলে ফের আন্দোলনে নামবে বলে জানিয়েছেন তারা। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এসব কথা বলেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল জামায়াত-শিবির পরিচয় দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। যা পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
নেতারা বলেন, ‘এ ধরনের সংবাদ প্রচার করা হলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা যদি এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলি, পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। তারা ইতিবাচক পেয়েছে বলেই আমাদের আন্দোলনে কোনো বাধা দেয়নি। প্রধানমন্ত্রীও আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন। কিন্তু দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য আমাদের ভিন্ন পরিচয় দিয়ে আন্দোলন ভিন্নপথে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে।’
সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা। এবং আমি মহসীন হলে ছাত্রলীগের সহসভাপতি। আমি সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। কেউ যদি আমাকে সন্দেহ করে থাকেন, তাহলে আমার পরিবারে খবর নিতে পারেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল্লাহ নূর, ফারুক আহমেদ প্রমুখ।