টিপু সুলতান ঃ দুইদিনের শীতে ভোলায় জমে উঠেছে পুরাতন মার্কেটে । আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে ভোলায় শীত বস্ত্র বিক্রয়ে আনন্দ উল্লাসের মধ্যেই পুরাতন ব্যাবসায়ীদের প্রস্তুতি সম্পুর্ন হয়েছে।যে শীতের হাওয়া মানুষের শরীর একটু অসুস্থ জ্বর সর্দ্দি ও কাশি ভর করে মনে করিয়ে দিচ্ছে ঋতুর পরিক্রমায় শীত শুরু হয়েছে। আমাদের ক্রয় করতে হবে শীতের পোশাক। শহর-গঞ্জে এখন চলছে শীতের আমেজ। আধুনিকতা আর পরিবর্তনের হাওয়ায় মোটা কাঁথা ও নকশী কাঁথার কদর কমে গেছে। লেপের বদৌলতে রঙ-বেরঙের কম্বল এখন মানুষের ঘরে ঘরে। তবুও নতুন নতুন শীত বস্ত্র ক্রয় এর মাধ্যমে কদর বাড়িয়ে তোলে শীত বস্ত্রের। আর শীতল বাতাসের সাথে একটু একটু করে ভোর রাতে পড়তে শুরু করেছে ঘন কুয়াশা। রাতে ঘুমোতেন কাঁথা কম্বল গায়ে জড়াতে হচ্ছে। ফলে শীতের আগমনী বার্তায় লেপ-তোষক তৈরির ও শীতবস্ত্র ক্রয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতে শুরু করেছে ভোলার মানুষেরা। বর্তমানে লেপের ব্যবহার কম থাকলেও শীত আগমনের সাথে সাথে বেড়েছে কম্বল ব্যবহারের কদর। সেই সাথে কম্বল , জেঁকেট, ট্রাউজার, নকশিকাঁথাসহ নানা ধরনের পোশাক বিক্রির প্রস্তুতি সম্পুর্ন করেছেন পুরাতন শীত বস্ত্র ব্যবসায়ীরা। কদর বেড়েছে কারিগরদের সেলাই ব্যবস্থার। শীতের শুরুতেই ক্রেতাদের আগমনের বার্তায় দোকানগুলোতে ব্যাবসায়ীদের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। এই পুরাতন শীত বস্ত্র ক্রেতারা যেমন কমদামে পন্য ক্রয় করতে সক্ষম-তেমনি বিক্রেতারা তাদের ব্যাবসায় লাভোবান। এখানে ১০০থেকে১০,০০০টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শীত বস্ত্র পাওয়া যায়।কেউ আবার পাতলা কম্বল ক্রয় করে স্বস্তি পায়। শহরের নতুন বাজারের মহলদার বা (সর্বোচ্চ দায়িত্ব বান) ব্যক্তি জনাব মোঃ ইয়ামিন জানান পুরাতন শীত বস্ত্র বিক্রয় প্রস্তুতি সম্পুর্ন হলেও শীত যত বেশি পড়বে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ও তত জমে উঠেবে। গ্রাম-গঞ্জের লোকজনের সাথে শহরের লোকজনেরা পুরাতন শীত বস্ত্র ক্রয় করে।তাই তিনি আশাবাদী ঢকা ও চট্রগ্রাম থেকে আশা এই শীতের বস্ত্র বিক্রয় করে এবার ভোলার পুরাতন শীত বস্ত্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হতে পারবে। পুরাতন শীত বস্ত্র ব্যবসায়ী মোঃ রাসেদ খান জানান ভোলার মানুষ শীত বস্ত্র খুব কম দামে ক্রয় করতে পারে পুরাতন শীত বস্ত্র মার্কেট থেকে। এখানে গরীব ধনী সবধরনের মানুষ ক্রয় করতে আসে।তবে ধনী লোকের চেয়ে গরীবেরাই এই মার্কেটে বেশী আনন্দ প্রকাশ করে। অপরদিকে শীতের আগমনে গ্রামের ও শহরের লোকজনেরা বিভিন্ন প্রস্তুতি শুরু করছে। গরিব পরিবারগুলো অপেক্ষা করছে পুরাতন ব্যবসায়ীদের শীত বস্ত্র বিক্রয়ের।