আড়াই লাখ রুপি চুরির মামলায় মূল অভিযুক্ত ভারতের মুম্বাইয়ের রবিচন্দ্রণ মুদালিয়ারকে জেরা করে নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল পুলিশ।
ট্যাক-ট্যাক গ্যাং-এর মূল হোতার মুখ থেকে হিন্দিতে কোনও কথাই বেরোচ্ছিল না। যা বলছিলেন, সবই তামিলেও। তাও অসংলগ্ন,অস্পষ্ট। এরপর কান ধরে টান মারতেই বদলে গেল ছবিটা।
সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত তিন ছেলে ও স্ত্রীকেও আটক করার হুমকি দেয়া হলে- পরিবারকে বাঁচাতে গলগল করে হিন্দিতে অপরাধ স্বীকার করে নিলেন রবিচন্দ্রণ।
তার এক ছেলে মেরিন প্রকৌশলী। এক ছেলে চিকিৎসক- সার্জারি নিয়ে মাস্টার্স করছেন। তিনি নবী মুম্বাইয়ের একটি বিখ্যাত হাসপাতালে চিকিৎসা করেন। আর ছোট সন্তান হোটেল ব্যবস্থাপনার ছাত্র।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘নবী মুম্বাইতে থাকেন রবিচন্দ্রণের স্ত্রী ও তিন ছেলে। তবে তাদের সঙ্গে থাকেন না অভিযুক্ত। রবিচন্দ্রণের বড় ছেলে এমবিবিএস করেছেন। বর্তমানে নবী মুম্বইয়ের একটি হাসপাতাল থেকে এমএস করছেন। মেজো ছেলে নাবিক। আর ছোট ছেলে হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়ছেন। ওদেরও ডেকে পাঠানো হবে বলে হুমকি দেয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিযুক্ত। স্বীকার করে নেন তার অপরাধ।’ লুকিয়ে রাখা দেড় লাখ রুপির সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়।
সাধারণত পথচলতি গাড়িকে টার্গেট করত ট্যাক ট্যাক গ্যাং। প্রথমে গাড়ির চালককে দরজা খুলতে বলা হত। ভাবটা এমন করা হত, যেন তেল লিক করছে বা কোনও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
গাড়ির চালক যখন সেসব দেখতে ব্যস্ত থাকতেন, সেই সুযোগে চক্রের বাকিরা গাড়িতে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র বিশেষ করে দামি স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ নিয়ে চম্পট দিত। এমনই একটি অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি মাসের শুরুর দিকে রবিচন্দ্রণসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২০১৭ সালের এসবিআই এটিএম-এর ক্যাশ ভ্যান থেকে এক কোটি ৬০ লাখ রুপি চুরির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
কথায় আছে, বাপ কা বেটা, সিপাহী কা ঘোড়া -কুছ নেহি তো থোড়া থোড়া। তবে চেষ্টা ও ইচ্ছের জোরে যে কোনও প্রবাদকেই যে মিথ্যে প্রমাণিত করা যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন দাগি চোরের তিন সন্তান।