ভোলা নিউজ রিপোর্ট।। বিপ্লব। পুরোনাম মইনুল হোসেন বিপ্লব। জন্মের ৬ মাস আগে বাবা মোঃ আলী আশ্রাফ মৃত্যুবরণ করেন। তোফায়েল আহমেদ বাংলার রাজনিতির সভ্যতার জনক। তার কোন ছেলে সন্তান নেই। সেই সুবাদে জন্মের আগেই বাবা হারানো বিপ্লবকে নিজের মত করে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। ছাত্রজীবনের শুরুতেই আটকা পরেন রাজনিতি বর্জিত ক্যাডেট কলেজে। রেজাল্টের দিক দিয়ে বরিশাল ক্যাডেট কলেজ থেকে সেই সময়ে বাংলাদেশের হাতে গোনা কয়েক জনের মধ্যে একজন ছিলেন। নিশ্চিত ভবিষৎ এর হাতছানিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জিবনের চ্যালেঞ্জ উচ্চত্বর ডিগ্রীর জন্য চলে যান বিদেশে। সেখান থেকে ডিগ্রী নিয়ে আয়েশী জীবন রেখে ফের চলে আসেন ভোলার আওয়ামী রাজনিতির আতুরঘর তোফায়েল আহমেদের বনানীর বাসায়। যেখানে প্রতিনিয়ত শত শত মানুষ দেখে চার দেয়ালের গন্ডিতে বড় হওয়া বিল্লব চরম বিরক্ত হওয়ার কথা থাকলেও মজা পেতেন ভোলা থেকে আসা অসহায় মানুষের জন্য নেতার কাছে কিছু সুপারিশ করে। ভোলার অসহায়দের জন্য বিপ্লবের সরল প্রাণ কাঁদা দেখে তোফায়েলও বিমোহিত হলেন। ভোলার আওয়ামী রাজনিতির নৈরাজ্যের মধ্যে বিপ্লবকে ভোলার দায়িত্ব দিয়ে পাঠান তোফায়েল। তরুণ রাজনিতির ঘরোয়া পাঠশালায় পড়া বিপ্লবকে জেলা আওয়ামীলীগের সেই কাউন্সিলে সংঘঠনিক সম্পদক বানিয়ে দেন তোফায়েল। মেধাবী বিপ্লব সুযোগ পেয়েই কাটাযুক্ত কাঠের চেয়ারকে হীরার চেয়ারে রুপান্তরিত করার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। বিপ্লব টেন্ডারবাজিসহ ভোগের রাজনিতিতে নিজেকে না ডুবিয়ে দল গঠনে হাত দেন। ২০১৮ সালের কঠিন নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোলার দিকহীন হ-জ-ব-র-ল আওয়ামী রাজনিতিকে ঢেলে সাজান। ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ত্যাগী ও দুর্দিনের পরিক্ষিত নেতাদের চিহ্নিত করে কথিত নেতা না বানিয়ে প্রত্যেককে দায়িত্বশীল বানান। প্রতিটি কেন্দ্র নিয়ে দল ও অঙ্গসংগঠনের সদস্যদের নিয়ে ৪ স্তরের শক্তিশালী কেন্দ্র কমিটি বানান। যা ভোলার ৪টি আসনের আওয়ামীলীগ এমপিদের নির্বাচনকে সহজ করে তোলেন। তোফায়েল আহমেদ স্বাধীনতার পর থেকে করা প্রতিটি নির্বাচনে কঠিন পরিস্থিতিতে পরতে হলেও বিপ্লবের দায়িত্বে থাকা ১৮ সালের নির্বাচনে জিতেছেন কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতাহীন ঈদের আমেজে। এর পরেই বিপ্লবকে একের পর এক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়েছে ঘরে ও বাহিরের। তোফায়েল আহমেদের আশির্বাদই যেন একজন ক্রিয়েটিভ তরুণ রাজনিতিবিদের জন্য অভিশাপ হিসেবে নেমে আসে। বিরোধী ও নিজেদের দলীয় ষড়যন্ত্র যেন একটি বলয়ে এসে তরুণ বিপ্লবকে গিলে খাবার উপক্রম। ঠিক তখনি শহর কেন্দ্রীক রাজনিতি থেকে বের হয়ে গ্রামের রাজনিতিতে চলে যান বিপ্লব। রাজনিতি বিমুখ গ্রামের প্রতিটি কর্মীর খোজ খবর নিয়ে তাদের পাশে দাড়িয়ে নিরবে কাজ করতে থাকেন ভোলার আওয়ামী রাজনিতির এই কৌশলী ইয়াং রাজনিতিবিদ। গ্রামের কর্মিদের চিকিৎসা ও লাশের পাশে নিয়মিত দেখা গেছে এই বিপ্লবকে। সকল শহরে ষড়যন্ত্র সেখানেই হেরে গেছে বিপ্লবের কাছে। যা দেখা গেছে সদ্য শেষ হওয়া গতকালের ১১ জুনের সরকারি স্কুল মাঠের আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে। ভোলার রাজনৈতিক ইতিহাসের একমাত্র ভোটের মাধ্যমে হওয়া কাউন্সিলে প্রত্যক্ষ ভোটে বিনা প্রতিদন্ধিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেন বিপ্লব। বিপ্লব একসময় ভোলা নিউজকে বলেন, “মনির ভাই আমি রাজনিতি করতে চাই। নেতা এমপি হতে চাইনা”। মহান আল্লাহ ও হয়তো তার এমন কোন সেবা কবুল করেছেন যার কারণে তার এই চাওয়াটি পূরণ করেছেন।শনিবার বিকেলে ভোলা জেলা স্কুল মাঠে
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের নির্বাচনী অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা মন্ত্রী পদমর্যাদার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি ও প্রধান বক্তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম রাব্বানী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান, ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলরা দেখে গেছেন কিভাবে একটি বাচ্চা ছেলে গ্রামের আওয়ামী কর্মীদের প্রিয় মানুষে পরিনত হয়ে শহরে সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে যুদ্ধের মাঠে টিকে থেকে প্রতিহিংসা নয় দায়িত্বপরায়ণতা দিয়ে জয়লাভ করে। এটা বিপ্লবের জয় নয় এটা শহরে ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে গ্রামের কর্মীদের জয়। এই জয় হতে পারে বাংলাদেশে সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের জন্য একটি মাঠ পর্যায়ের রাজনৈতিক পাঠশালার শিক্ষা। ভোলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাষ্য হঠাং করে জেলা আওয়ামীলেগের মত বড় দলের সাংঘঠনিক সম্পাদক হওয়া বিপ্লবের জন্য প্রশ্নবোধক ছিলো। এবারের কাউন্সিলে তার যোগ্যাতার ধারেকাছেও নেই কেউ সাধারন সম্পাদক হওয়ার। তোফায়েল আহমেদের সন্তান পরিচই তার জন্য রাজনৈতিিক অন্তরায় হিসেবে দাড়িয়েছে এবারের কাউন্সিলে। তবে গ্রামের ডেলিগেটরা সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে ভোলার আওয়মী রাজনিতিকে যোগ্য নের্তৃত্বের হাতে দিয়ে ভোলা’র আওয়ামীলীগকে রাহু মুক্ত করেছে।