তারুন্যের আশা জাগানিয়া শ্বেতা’র নতুন বই “বুধবারের চিঠি”

 

 

তরুনদের আশা জাগানিয়া লেখক মুসাররাত জাহান শ্বেতা। জন্ম ঢাকায়। বেড়ে ওঠার অনেকটা সময় কেটেছে বরিশাল, ভোলায়। বরিশালের স্কুল এবং কলেজ থেকে পাশ করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে প্রথম শ্রেনীতে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন যন্ত্র প্রকৌশলে। তারপর এলজিইডিতে কাজ করেন বছর তিনেক।

ইতিমধ্যে নিজের সংসার শুরু করেন এবং স্বামী, কন্যা এবং পুত্র নিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য আমেরিকায় যান। সেখানে যন্ত্র প্রকৌশলে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করেন। বর্তমানে আমেরিকার ডিট্রয়েট শহরে ফোর্ড মোটর কোম্পানীর হেড কোয়ার্টারে কর্মরত আছেন। ফোর্ডের ফুল টাইম চাকরীর পাশাপাশি তিনি দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে (University of Toledo, Ohio এবং Bowling Green State University, Ohio) তে ইন্জিনিয়ারিং বিভাগে পার্টটাইম প্রফেসর হিসেবে কাজ করেন। ইংরেজীতে বেশ কিছু গবেষনা মূলক জার্নাল পেপার পাবলিকেশন সহ ২০২০ সালে Elsevier publication থেকে প্রকাশিত একটি ইন্জিনিয়ারিং পাঠ্য বইয়ের কো-অথর তিনি।

স্কুল এবং কলেজে থাকতে নিজের ডায়েরী লেখা এবং বিভিন্ন রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহনের মাধ্যমে লেখালেখির শুরু। বরিশাল, ভোলার নদী, প্রকৃতি, সহজ সরল মানুষ, দাদবাড়ীর শৈশব তার মনে গভীরভাবে শেকড় গেড়ে আছে। বুয়েটের ছাত্রী থাকা কালে বরিশাল ও ভোলার বিভিন্ন গ্রামে তার নিজের হাতে লাগানো কয়েক হাজার গাছের কিছু কিছু এখন মহিরূহে পরিনত হয়েছে।
জনপ্রিয় সাপ্তাহিক যায়যায়দিন পত্রিকায় ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত নিয়মিত কলাম লিখতেন। ‘আমেরিকা আমেরিকা’ নামে সেই কলামে থাকতো তার আমেরিকার জীবনের অভিজ্ঞতার কথা।

বুধবারের চিঠি বইয়ের বারোটি গল্প সাজানো হয়েছে যে কোন মেয়ের জীবনের বিভিন্ন বয়েসের অনুভুতি, আবেগ, ভালোবাসা, অভিজ্ঞতা, চ্যালেন্জ, উৎসাহ, পরিশ্রম এবং আত্মনির্ভরশীলতা এবং মনবলের কথা। সবগুলো গল্পই পাঠককে সৃজনশীল ভালোলাগার অনুপ্রেরনা এবং আশার আলো দিবে বলে তিনি মনে করেন।
অনেক শখের মধ্যে তার একটি শখ হল তরুন ছেলেমেয়েদেরকে স্বপ্ন দেখতে শেখানো। যেসব পরিশ্রমী এবং মেধাবী ছেলেমেয়ে আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে উচ্চশিক্ষা লাভ করার আগেই ঝড়ে পড়ে, তাদেরকে সাহায্য করতে পারলে তিনি নিজেকে সত্যিকারের সফল বলে মনে করবেন।

এই অনুপ্রেরনার পেছনে রয়েছে লেখিকার বাবা সমাজসেবক মোশারেফ হোসেন শাজাহান এবং মা অধ্যাপক ফিরোজা বেগম।

SHARE