তজুমদ্দিন প্রতিনিধি।। ভোলার তজুমদ্দিনে বিবাহিত ভাতিজীকে ফুসলিয়ে স্বামীর সংসার থেকে নিয়ে আসার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে লিখিত দিয়েছেন দুই শিক্ষক চাচার বিরুদ্ধে। চাচাদের বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী ভাতিজী উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও থানা অফিসার ইন-চার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। পুলিশ সাধারণ ডায়েরি (১০৮৫ নং) ভুক্ত করে বিষয়টি তদন্ত করছেন। অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, চাঁদপুর ইসঃ ফাজিল মাদ্রাসা সহকারী শিক্ষক মনির হোসেন এর সাথে পারিবারিক ভাবে ২০১৯ সালে বিবাহ হয় শম্ভুপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সোহবার মিয়ার মেয়ে উম্মে হাবিবার। মনিরের কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে না পেরে সোহরাব মিয়ার ভাই চন্ডীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মোকাম্মেল হোসেন শাহীন ষড়যন্ত্রে জাল বুনেন। অপর ভাই চর ফয়েজউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান মিলে সহজ সরল সোহবার মিয়াকে হাতের পুতুল বানিয়ে নাচাতে থাকেন। তারা কোন রকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই মেয়েকে শ্বশুরবাড়ীতে পাঠিয়ে দেন। এবং ভাতিজীর সংসার ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে একের পর এক অপবাদ রটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে সোহরাব মিয়া একমাত্র কন্যা সন্তানে সংসার ভাংতে রাজি না হলে তাকে বাড়ী থেকে বের করে দিলে নতুনহাট বাজারের একটি ভাঙ্গা ঘরে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এবিষয়ে সোহবার মিয়ার স্ত্রী জানান, এই সুচতুর শাহীন ও তার ভাইয়েরা ২০ বছর যাবৎ আমার জীবন সংসার অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এখন আমার একমাত্র মেয়ের সংসার ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র করছে।অভিযোগে বিষয়ে জানতে চাইলে মোকাম্মেল হোসেন শাহীন জানান, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সাথে কিছুটা অমিল আছে, আমাদের পারিবারিক বিষয় আমরা বুঝবো। থানা অফিসার ইন-চার্জ এসএম জিয়াউল হক জানান, দুই চাচার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে ভাতিজী একটি লিখিত দিয়েছে।আমরা তদন্ত করে দেখছি।