মঞ্জু ইসলাম,ভোলানিউজ.কম,
১৬এপ্রিল-২০১৮ইং,
ভোলার তজুমদ্দিনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বিজ্ঞাণ বিষয়ের ২য় ব্যাচের ৬ দিনের প্রশিক্ষণ ৫ দিনে শেষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা রিসোচ সেন্টারের ইনেসট্রাক্টর ও প্রশিক্ষকদের বিরুদ্ধে। ৬ দিনের প্রশিক্ষণ ৫ দিনে শেষ করে হাজিরা খাতায় প্রশিক্ষণার্থীদের অগ্রিম স্বাক্ষর নেন সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে সচেতন মহল ও প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সুত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বিজ্ঞাণ বিষয়ে ২য় ব্যাচে ২৬ জন শিক্ষকের প্রশিক্ষণ শুরু হয় গত ৮ এপ্রিল থেকে যা চলার কথা ছিলো ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু তজুমদ্দিন উপজেলার রিসোচ সেন্টারের দায়িত্বে থাকা আফজালুর রহমান, প্রশিক্ষক রুবেল বিশ্বাস ও মুনসুর হেল্লাল ৬ দিনের প্রশিক্ষণ ১দিন কম করিয়ে অর্থ্যাৎ ৫দিন করে প্রশিক্ষাণার্থীর কাছ থেকে তাদের হাজিরা খাতায় অগ্রিম ৬ দিনের স্বাক্ষর নিয়ে নেন। যা সম্পূর্ণ সরকারী নিয়ম বহিভূতভাবে করা হয়েছে। সরকারী অর্থে পরিচালিত এ প্রশিক্ষণ বিরতি হীনভাবে ৬ দিন করার নিয়ম থাকলেও তা না করে সরকারী নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে ৫ দিনে শেষ করায় উপজেলার সচেতন মহল ও প্রশিক্ষাণার্র্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে আলাপকালে প্রশিক্ষাণার্থী ও প্রশিক্ষণ আয়োজকদের মধ্যে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া যায়। রির্সোচ সেন্টারের ইনেসট্রাক্টন ও এক প্রশিক্ষক হিন্দু প্রশিক্ষণার্থীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য তাদের মৌখিক আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রশিক্ষণ একদিন কমানোর কথা বললেও প্রশিক্ষণার্থীর বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবী প্রশিক্ষণের সময় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক ১দিনের অগ্রিম স্বাক্ষর করার দাবী করেন। হাজিরা খাতায় অগ্রিম স্বাক্ষর করার বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক ও ২য় ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থী জসিম উদ্দিন জানান, খাতায় অগ্রিম স্বাক্ষর আমার ইচ্ছায় হয়নি। যা হয়েছে তা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক হয়েছে। আরেক প্রশিক্ষণার্থী ও চরজহিরউদ্দিন মরিয়ম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাওয়া হয় ১৩ এপ্রিলের প্রশিক্ষণ নাই কেন ? প্রথমে তিনি প্রশিক্ষণ কাশের থাকার দাবী করলেও পরে বলেন আমি বাজারে আছি এবং অসুস্থ্য থাকার কারণে ছুটিতে রয়েছে। হাজিরা খাতায় ১ দিনের অগ্রিম স্বাক্ষর করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে সরাসরি দেখা করতে চান। তাতে সাংবাদিকরা রাজি না হলে একটু পরে কথা বলবেন বলে লাইন কেটে দেন।
জানতে চাইলে বিজ্ঞাণ বিষয়ের প্রশিক্ষক রুবেল বিশ্বাস জানান, হাজিরা খাতায় অগ্রিম স্বাক্ষর নিছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আমি সেখানে শুধু মাত্র একজন প্রশিক্ষণ সহায়ক। তবে তিনি দাবী করেন হিন্দু শিক্ষকদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কারণে তাদের মৌখিক আবেদনে একদিন কমিয়ে ৬ দিনের পরিবর্তে ৫ দিন প্রশিক্ষণ করে ৬ দিনের স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে এবং ৬ দিনের ভাতা প্রদান করা হয়েছে। তবে সরকারী নিয়মের বাহিরে এভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করা ঠিক হয়েছে কি না? তার কোন সদোত্তর দিতে পারেনি তিনি। উপজেলা রির্সোচ সেন্টারের দায়িত্বে থাকা আফজালুর রহমানের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি জানান এভাবে করা ঠিক হয়নি। তবে অন্য এক শুক্রবারে প্রশিক্ষণ করাবেন বলে জানান। তিনি আরো বলেন, এবিষয়ে নিউজ করলে আমার ক্ষতি হবে। তবে আসেন রবিবার দিন অফিস সময়ে সামনা সামনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলি। অন্যদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতিকুল ইসলামের ব্যবহৃত নম্বরে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।
(আল-আমিন এম তাওহীদ)