স্টাফ রিপোর্টার
ভোলার তজুমদ্দিনের চাচঁড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শামসুল হক মাষ্টারের ক্যাডারদের হামলায় ৭জনকে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, জয়নাল আবেদিন, রুহুল আমিন, ইউসুফ, মহসিন, বাহার, শরীফ ও মারুফ সিকদার। আহতরা তজুমদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চাচঁড়ার আনন্দ বাজার এলাকায় মৃত মমতাজ উদ্দিন সিকদারের জমি ভোগদখল করে আসছিলো তার ওয়ারিশরা। ওই জমির দখলের পায়তারা করে স্থানীয় মফিজ মিয়া নামের এক ব্যক্তি। পরে তার দাবির সত্যতা যাচাইয়ে ফয়সালায় বসল কোন জমি পাননি তিনি।
ফয়সালায় হেরে ওই এলাকার প্রভাবশালী ভুমিদস্যূ খ্যাত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি সামসুল হক মাষ্টারের আশ্রয় মফিজ মিয়া। তার প্ররোচণায় জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টায় শুক্রবার সকালে ওই জমিতে ঘর তোলার করে মফিজ মিয়া। এতে বাধা দিলে শামসুল হক মাস্টারের ভাই ভাতিজা ও ক্যাডারদের হামলায় ৭জন গুরুত্বর আহত হন। এসময় হামলাকারীরা আহত ইউসুফ সিকদারের বাইকটিও ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চাচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শামসুল হক মাষ্টার বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। চাচঁড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত দেখেছি এ জমি সিকদার বাড়ির লোকদের ভোগ দখলে। হঠাৎ করে মফিজ মিয়া দাবি করায় তাকে দলিলপত্র দেখানোর কথা বললেও তিনি দেখাতে পারেননি। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে চৌকিদার পাঠিয়ে মফিজ মিয়াকে ঘর তৈরি না করার জন্য অনুরোধ করা হলেও তিনি তা না শুনে শামসু মাস্টারের ক্যাডার নিয়ে ঘর উঠাতে গেলে সিকদার বাড়ির লোকজন বাধা দিলে তাদের উপর হামলা করে।
শামসু মাস্টার এ ইউনিয়নে বিভিন্ন জনের সাথে ঝামেলা বাধিয়ে দেন বলেও জানান তিনি। তজুমদ্দিন থানার উপ-পুলিশ পরিদর্ক আব্দুল খালেক বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সংবাদে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। উভয় পক্ষকে থানায় আসতেও বলা হয়েছে।