মোঃ ইমরান হুসাইন মুন্নাঃঃ-
ভোলার তজুমদ্দিনে মা-হারা গৃহপরিচারিকা কিশোরীর করোনা (পজেটিভ) আক্রান্ত হওয়ার পর জন্মদাতা বাবাসহ ভাই, বোন কেউই তার পাশে থাকতে রাজি হয়নি। তার অবস্থা গুরুত্বর হওয়ার পরও স্বজনরা কোন খোঁজ খবর নেয়নি। পরে রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার নিজ খরচে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে বরিশাল পাঠিয়েছেন ভোলা-৩ আসনের এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। সেখানে আইসিউতে রাখা হয়েছে শিরিনা আক্তার (১৯) নামের এই করোনা রোগীকে। তার চিকিৎসা ব্যয় বহনসহ যাবতীয় খরচের দায়িত্বভার গ্রহন করলেন এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।
তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ কবির সোহেল জানান, উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কাজীকান্দি গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের মেয়ে শিরিনা আক্তার বরিশালের একটি বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। করোনার উপসর্গ নিয়ে শিরিনা তার বড়বোনকে নিয়ে ২৮ মে তজুমদ্দিন হাসপাতালে আসলে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানোর পর ৩১ মে পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। তার অবস্থার অবনতি দেখা দেয়। আইসিইউতে থাকার প্রয়োজন হওয়ায় তাকে বরিশাল রেফার করে তজুমদ্দিনের ডাক্তার।
উপজেলা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ হেলালউদ্দিন সুমন জানান, মা-হারা অসহায় গৃহপরিচারিকা কিশোরীর করোনা পজেটিভ সনাক্ত হওয়ার পর জন্মদাতা বাবাসহ পরিবারের কেউই তার পাশে থাকতে রাজি হয়নি। টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় করুণ পরিস্থিতির শিকার ওই রোগীর অবস্থা দিন দিন অবনতি হওয়ায় আইসিইউ সার্পোট প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে ভোলা-৩ আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বৃহস্পতিবার এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া, চিকিৎসা ব্যয় বহনসহ যাবতীয় খরচের দায়িত্বভার গ্রহন করে বরিশাল প্রেরণের ব্যবস্থা করেন। শিরিনা আক্তার বর্তমানে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।