স্টাফ রিপোর্টার।।
ভোলার তজুমদ্দিনে অসহায় পরিবারের ভোগদখলীয় জমি জোরপূর্বক দখল করে বিল্ডিং নির্মান করছে স্থানীয় প্রভাবশালী আলী হায়দার চৌধুরী ও মোজাম্মেল হক। জমিতে বিল্ডিং নির্মান কাজে বাধা দেওয়ায় অসহায় ফাতেমা, মানছুরা খাতুন, আবদুল আহাদ, আবদুর রহমান গংদের প্রাণনাশের ও মামলার হুমকি দিচ্ছে আলী হায়দার গংরা। প্রভাবশালীদের হুমকি-ধামকির ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগী পারিবার। এক লিখিত অভিযোগে এসব কথা জানিয়েছেন ফাতেমা, মানছুরা গংরা।
লিখিত অভিযোগে ফাতেমা ও মানছুরা খাতুন, আবদুর রহমান, আবদুল আহাদ বলেন, জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার কালী মন্দির সংলগ্ন ভোগদখলীয় খালি যায়গা ও বাজারে আমাদের অস্থায়ী দোকান ঘর রয়েছে। আমাদের ২ খতিয়ানের ২৮ শতাংশ ও বাজারের সরকারের মূল্যবান ১নং খাস খতিয়ানের ২০ শতাংশ জমিসহ মোট ৪৮ শতাংশ জমি পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে ভোগ দখল করে আসছি। হঠাৎ করে স্থানীয় প্রভাবশালী আলী হায়দার চৌধুরী, মোজাম্মেল হক গংরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাদের ৪৮ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে বিল্ডিং নির্মান করতে আছে। আমরা জমির ওয়ারিশগণ বিল্ডিং উত্তোলনে বাধা দিলে আলী হায়দার ও মোজাম্মেল হক বাহিনী আমাদেরকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে মারধর করতে এগিয়ে আসে। সেখান থেকে প্রাণের ভয়ে সরে যাই। এরপর হায়দার গংরা আমাদেরকে ওই জমির আশেপাশে দেখলে প্রাণে মেরে ফেলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়াবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমরা গরীব ও অসহায় হওয়ার কারণে তাদের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে অবৈধ বিল্ডি নির্মান কাজ বন্ধ করতে ব্যার্থ হয়েছি। বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালেও আলী হায়দার চৌধুরী গংরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ এগিয়ে আসেনি। আমাদের পৈত্রিক ভোগদখলীয় জমি ভূমিদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, আমরা ক্রয় সূত্রে এই জমির মালিকানা পেয়েছি। আমাদের কাছে সকল কাগজপত্র রয়েছে। ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে আমরা এখানে বিল্ডিং নির্মান করিতেছি।