আল-আমিন এম তাওহীদ, ভোলানিউজ.কম,
প্রতি শুক্রবার ভোলার সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের জমানো ভীড় দেখা যায়। ভোগান্তি থেকে শুরু করে অঝথা পরিক্ষা-নিরীক্ষা। হচ্ছে লাভবান ডাক্তার, অসহায় রোগীরা পাচ্ছেনা সঠিক সেবা। লিখছেন মনগড়া ওষুধ, পাচ্ছেন কোম্পানী থেকে পারছেন্টিস। অতিরিক্ত ফি, রয়েছে নুন্যতম ৫টি টেস্ট। অপর দিকে পাচ্ছেন সরকারি বেতন,ভাতা, বাড়িভাড়াসহ নানা সুযোগ সুবিধা। তারপরও টাকার অভাবে নেমে আসেন প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে। সেখানে রয়েছে টাকার সমাহার। প্রতি শুক্রবার ১জন চিকিৎসক প্রায় ৩০০ রোগীর সেবা করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ২০এপ্রিল আনুমানিক দুপুর ২টা, ভোলা শহরের বাংলাস্কুল মোড়ে অবস্থিত সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেখানে প্রতি শুক্রবার রোগী দেখছেন বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এইচএন সরকার। এ চিকিৎসকের রোগী দেখার ফি জন প্রতি ৮০০ টাকা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন রোগীসহ ভোলার সুশিল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।
রোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানান, প্রথমে এইচএন সরকারের ফি ছিল ৩০০ টাকা, সেখান থেকে ৫০০ টাকা, সেখান থেকে ৮০০টাকা। তার পাশাপাশি রয়েছে অঝথা পরিক্ষা-নিরীক্ষা। ৫টি থেকে ৬টি টেস্ট দিচ্ছেন, যা অনেক টাকার প্রয়োজন। রোগ না থাকলেও বোনাস হিসেবে এগুলো গ্রহণ করতে হয় আমাদের । আমরা সাধারণ গরিব অসহায় এতো টাকা কোথায় পাবো?। অনেক সময় চিকিৎসা চালানোর মতো টাকা থাকেনা। তবুও ঋণ করে চিকিৎসা খরচ চালাতে হয়। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি দয়া করে আমাদেরকে বাচাঁন। অামরা সুন্দর পৃথিবী দেখতে চাই। ডাক্তার এইচএন সরকারের ফি ৮০০টাকা, এবং দিচ্ছেন সব আলতু ফালতু পরিক্ষা,টেস্ট।
ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম সফি বলেন, ডাক্তার এইচএন সরকার তিনি অঝথা পরিক্ষা-নিরীক্ষা দিচ্ছেন এবং ৮০০টাকা রোগী দেখার ফি নিচ্ছেন। একজন চিকিৎসক সরকারী বেতন-ভাতা পাওয়ার পরও কেন এতো টাকা নিচ্ছেন। গরিব অসহায় ব্যক্তিদের চিকিৎসার নামে হয়রানি। একজন গরিব রোগী কিভাবে এতো টাকা দিবে। অসহায় মানুষের সেবার নামে চলছে গলাকাটা ফি। শুধু অতিরিক্ত ফি নিয়েই খ্যান্ত নয়, দিচ্ছেন অনেক টেস্ট, যা কোন প্রকার রোগীদের কাজে আসেনা। প্রিসক্রিপশন লিখছেন সেখানেও রয়েছে চিকিৎসকদের দূর্নীতি। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর কাছ থেকে চিকিৎসকেরা পারছেন্টিস নিচ্ছেন। গরিব অসহায় ব্যক্তিদের পক্ষে থেকে এসকল দূর্নীতির নিন্দা জানাচ্ছি এবং বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি এসকল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।
এবিষয়ে, ডাঃ এইচএন সরকারের কাছে জানতে চাইলে সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার সহকারী বছেলেন এটা সব মিথ্যা কথা স্যারে ব্যস্ত।