ক্রাইম ডেস্কঃ
শান্ত ভোলাকে অশান্ত করতে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র । পাওয়া যাচ্ছে একের পর এক ফেইসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার খবর । মাদক ব্যাবসায়ীদের উস্কানি রূপ নিচ্ছে বিক্ষোভে।
তবে এন্টিট্রেররিজমের এই দক্ষ অফিসার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বাংলাদেশের জঙ্গী নির্মুলের অন্যতম সফল অফিসার হওয়ায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের টার্গেট হতে পারেন বলেও ধারনা করছেন অনেকেই।
আজ সকালে ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এর ব্যাক্তিগত ফেইসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার মধ্যদিয়ে এই ষড়যন্ত্র উম্মোচন হতে শুরু হয়েছে। সকালে কালীনাথ রায়ের বাজারের সাগর কর্মকারের আইডি হ্যাকেরও খবর পাওয়া গেছে। ভোলার পুলিশ সুপার নিজে ভোলা সদর থানায় আইডি হ্যাকের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন। যার নং-৯৯৩, তারিখ ২২.১০.১৯। আমাদের ভোলা নিউজের ক্রাইম রিপোর্টাররা জানান, বোরহানউদ্দিনের ঘটনাও এ সকল ষড়যন্ত্রেরর অংশ। তারা গত তিন দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছিলেন এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে। কি হয়েছিলো সেই দিন বোরহানউদ্দিনে? কেন ই বা ঘটেছিলো গুলির ঘটনা? নিরীহ ছেলেদের কেনই শহীদ হতে হলো।? সকল প্রশ্নের সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করেছে ভোলা নিউজের ক্রাইম রিপোটাররা।
বিপ্লব ও ইমনকে বোরহানউদ্দিন থানায় আটকের পর পুলিশ সুপারের প্রত্যক্ষ তদারকিতে তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী ১৯ তারিখ রাতেই পটুয়া খালিতে অভিযান চালিয়ে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শরিফ নামক এ ঘটনার অন্যতম হোতাকে গ্রেফতার করে বোরহানউদ্দিন থানার এসআই মোঃ দেলোয়ার হোসেন। তা হলে পরের দিন ঘটা করে কেন এই আয়োজন ছিলো? হয়ত হুজুররা এই ঘটনা ওয়াকিবহল না থাকায় আয়োজন হতেই পারে। সেক্ষেত্রে ওই বিক্ষোভ জনসভার মঞ্চে গিয়ে ভোলার পুলিশ সুপার যখন মুসলিম নেতাদের মামলার তদন্ত ও অগ্রগতি সম্পর্কে বুঝিয়ে বলে তখন বাটামারার পীর সাহেব হুজুর সভা সমাপ্ত ঘোষণা করেন। সভা মঞ্চের মাইক থেকে নির্দেশনা মূলক ঘোষণা আসতে থাকে কোন কোন এলাকার মানুষ কোন দিক দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে চলে যাবেন। এসময় ভোলার পুলিশ সুপার ও এডিশনাল ডি আই জি সহ মঞ্চ থেকে নেমে আসছিলেন। এমন সময় একদল উত্তেজিত জনতা স্লোগান দিয়ে বিনা উস্কানিতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে এত পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে মসজিদের দোতলার একটি রুমে ভোলার পুলিশ সুপার ও এডিশনাল ডি আই জি সহ কয়েকজন পুলিশ অফিসার আশ্রয় নেয়। এরপর পুলিশ সুপার নিচের ওয়াস রুমে এসে দোতলায় ফিরে সিড়ির মাঝামাঝি আসার পরেই হঠাৎ করে পুলিশ অফিসারদের আশ্রয় নেয়া ওই ঘরটি টার্গেটে পরিনত হলো। সব কিছু রেখে পুলিশ সুপারকে দেখা মাত্রই ওই ঘরটিতেই কেন হামলা শুরু হলো। হুজুরদের টার্গেট যদি ওই হিন্দু বিপ্লবই হয়ে থাকে তাহলে তো তাদের টার্গেট হওয়ার কথা বোরহানউদ্দিন থানা, আর যখনই এই টার্গেট থানা না হয়ে যদি হয় ওই মসজিদের দোতলা ঘরে আশ্রয় নেয়া পুলিশ সুপার, তখনি প্রশ্ন দেখা দেয় কেন এই হামলা? কাকে এই টার্গেট? এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর মেলাতে তিন দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন ভোলা নিউজের ক্রাইম রিপোটাররা। ২০ আগস্ট সারাদিন কাজ করা রিপোর্টার মনজু ইসলাম জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হওয়া সভার পিছনের দিক থেকে যে গ্রুপটি মসজিদের দোতলায় হামলা করেছে তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। ওই দোতলার ঘরটিতে আশ্রয় নেয়াদের মধ্যে ছিলো এডিশনাল ডি আই জি, পুলিশ সুপার, ইউেনও, এডিশনাল এসপি, সদর সার্কেলসহ গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ অফিসাররা। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা যখন খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ওই ঘরটি ভেঙ্গার শেষপর্যায়ে তখন সিনিয়র অফিসারদের প্রাণ রক্ষায় গুলি ছুড়ে ঘরে আটকা পরা অফিসারদের প্রাণে রক্ষা করেন পুলিশ। আর এ থেকে গোলাগুলির সূত্রপাত বলেই জানা গিয়েছে। আর এই দোতলার ঘরে হামলাকারী অশুভচক্রের সাথে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্টি এবং ভোলার মাদক ব্যাবসায়ীদের সাথে সম্পর্কের ধারনার কথাও জানিয়েছেন অনেকে। কোন গ্রুপটি এই কাজ করেছে তা ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। ভোলার ক্রাইম বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা, তারা বলছেন ভোলা থেকে প্রতিদিন ফিশিং বোটের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি জেলায় রপ্তানি হতো। ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার যোগদানের পর থেকে মাদকের সকল রুট বন্ধ হয়ে যায় আর এ কারনেই দিন দিন তিনি ভোলার মাদক স্কবারদের টার্গেটে পরিনত হন। এই হামলায় নিরীহ মুসল্লিদের উস্কানি দাতাদের খুজে বের করলেই প্রকৃত রহস্য উম্মোচিত হবে বলে আশা করছেন ভোলার সাধারণ মানুষ। সাথে সাথে হামলায় নিহত শহীদের হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে বলেও মনে করছেন ভোলার আলেম সমাজ।