অনলাইন ডেস্কঃ
ভোলা নিউজ-১৬.০৪.১৮
টঙ্গীতে ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশত। গতকাল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ লাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রেলমন্ত্রী মজিবুল হক, জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, গাজীপুর পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদসহ রেলওয়ে ও পুলিশের
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা জামালপুর কমিউটার ট্রেনটি দুপুর সোয়া ১২টার দিকে টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের ২নম্বর লাইন দিয়ে ঢাকায় ঢুকছিল। এ সময় ট্রেনের ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। বগিগুলো লাইন থেকে আছড়ে পরলে ওই বগিতে থাকা কয়েকজন যাত্রী ছিটকে নিচে লাইনে পড়েন এবং ওই ট্রেনেই কাটা পড়ে চারজনের দেহ খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যায়। এ সময় অর্ধশত যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর আলমগীর হোসেন (২৩), শরিফ (২৫), ইস্রাফিল হোসেন (১৩), বাদল মিয়া (৫৫), হালিমা আক্তার (৩৩), মনির হোসেনকে (৩২) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাজ্জাদ হোসেনকে (২৬) পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া বিপ্লব হোসেন (২৫), শাহিন (১৮), ফিরোজ মিয়া (৩৫), লিয়াকত হোসেন (৪০), আব্দুর রাজ্জাক (৩৮), নজরুল ইসলাম (৬৫) ও আবু সাঈদকে (২৫) টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ১২ জন আহত যাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস, থানা পুলিশ ও রেলপুলিশ উদ্ধার কাজ চালান। এ ঘটনায় দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা চট্টগ্রাম-উত্তরবঙ্গ-ময়মনসিংহ ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এ ঘটনায় ডিএসটিই, ডিটিও, ডিএমই ও ডিইএন-১ এর প্রধানদের নিয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টঙ্গী রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মো. হালিমুজ্জামান বলেন, কিভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. আতিকুর রহমান জানান, ট্রেনটি টঙ্গীর নতুনবাজার এলাকায় রেল সিগনাল পার হওয়া মাত্রই পেছনের ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জন মারা যান।
এ বিষয়ে টঙ্গী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
এ ব্যাপারে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. পারভেজ হোসেন বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় আহত ২৬ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে গুরুতর ৭ জনকে ঢামেক ও পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ৭ জনকে এ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং ১২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসাশেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।