মনির আহাম্মেদঃ-
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ভোলা ভোলা সদর সহ বেশ কয়েকটি উপজেলা। জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ না থাকায় লোকালয়ে ঢুকে কয়েক ফুট উচ্চতায় প্লাবিত হয় মদনপুর ইউনিয়ন। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষরা।
বিশেষ করে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিল, মরিচ,ইরি ধান, বোরো ধান, বাদাম, ডেড়স, রেখা, জিঙ্গা, সিজনাল শাক-সবজি মিলে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করতে পারেনি জেলা প্রশাসন।
মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু মিয়া জানান, ‘পূর্ণিমার জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ইউনিয়নে চারপাশের প্রায় সারে চার কিলোমিটার ইটের রাস্তা এবং সারে এগারো কিলোমিটার কাচা রাস্তা ব্যাপকভাবে ভেঙে গেছে। অন্তত রাস্তার ১০টি জায়গায় ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ইউনিয়ন এমন ক্ষতি গত ৫ বছরেও হয়নি। রাস্তা ঘাটে ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলেদের বেশ কিছু নৌকা ও ট্রলার নদীর ঢেউয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় শতাধিক বাড়ি-ঘর।’অত্র ইউনিয়নে ১৪ টি সরকারি আবাসন ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটি আবাসনে ৬০ টি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন মানুষ।
মদনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইয়ারুল আলম হেলাল জানান, মদনপুর ইউনিয়নের ৯টি গ্রামে ১০ হাজার লোকের বসবাস এই ইউনিয়নে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় চরম ঝুঁকির মধ্যে তাদেরকে বসবাস করতে হচ্ছে।যদিও এখানে তিনটি স্কুলকাম সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি চর্তুপাশে রিংবাধ হলে হয়তোবা কিছু ক্ষতি কম হতো।
এছাড়াও ভোলার মনপুরায় প্রায় চার থেকে পাঁচ ফুট পানিতে জলে ভাসছে মনপুরা। থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর কলাতলী চরদ এম্পিয়ার চর নিজাম প্রত্যেকটি জনবসতিপূর্ণ চড়ে থই থই পানিতে মনপুরা।।