জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব, দেবরের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণচেষ্টা মামলায় ফেঁসে গেলেন ভাবি

 

ইব্রাহিম আকতার আকাশ,।। জমি নিয়ে দেবরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছে ভাবির। সেই দ্বন্দ্বের জের ধরে দেবরকে ঘায়েল করতে মিথ্যা ধর্ষণচেষ্টা মামলা করেন তিনি। আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হলে সেই মামলায় কারাগারে গেলেন ভাবি।

ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশিভূষণ থানা এলাকার চর কলমি ইউনিয়নের দক্ষিণ চর মঙ্গল গ্রামে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) শশিভূষণ থানা পুলিশ ফজিলাতুন্নেছা নামের ওই নারীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

ফজিলাতুন্নেছা চর মঙ্গল গ্রামের মো. ছিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী এবং ৪ সন্তানের জননী। তার দেবরের নাম মো. শাহে আলম বেপারি।

শশিভূষণ থানা সূত্রে জানা গেছে, ফজিলাতুন্নেছার সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত তার দেবর শাহে আলমের সঙ্গে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। কোনোভাবেই দেবরকে ঘায়েল করতে না পেরে গেল বছরের জুলাই মাসে ফজিলাতুন্নেছা শাহে আলম ও তার (শাহে আলম) ছেলে মঞ্জুর বিরুদ্ধে চরফ্যাশন আদালতে একটি মিথ্যা ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তা শশিভূষণ থানা পুলিশকে এফআইআর হিসেবে নিতে নির্দেশ দেন।

পুলিশ মামলাটি গ্রহন করে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তকালে ঘটনাটির সত্যতা না পেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদী ফজিলাতুন্নেছার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণচেষ্টা দায়ের করা হয়েছে মর্মে চলতি বছরে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। এরপর আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হলে বিচারকের নির্দেশে বাদীকে গ্রেফতার করা হয়।

শশিভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক জানান, ফজিলাতুন্নেছার ধর্ষণচেষ্টা মামলাটি একেবারেই মিথ্যা। জমিসংক্রান্ত দ্বন্দ্বে তিনি আপন দেবর ও দেবরের ছেলেকে মিথ্যা ধর্ষণচেষ্টা মামলায় ফাঁসাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর বিচারক বিবাদীকে নির্দেশ দেন বাদীর বিরুদ্ধে মামলা করতে। পরে বিবাদী শাহে আলমের করা মামলায় বাদী ফজিলাতুন্নেছাকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ওসি আরো বলেন, অনেকেই মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়ে মানুষকে হয়রানি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তদন্তকালে যদি ঘটনার সত্যতা না পাওয়া যায়। তাহলেই ফেঁসে যেতে পারেন বাদী। ফজিলাতুন্নেছার ঘটনায় সমাজে মিথ্যা মামলা দেওয়ার প্রবণতা কমে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE