অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,
ভাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের ২৯ তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়েই ঐহিত্যবাহী ছাত্র সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে।
শুক্রবার বিকাল চারটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনস্থলে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ছাত্রলীগের নেতারা তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
পরে ছাত্রলীগের নেতাদেরকে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন শেখ হাসিনা। এরপর গাওয়া হয় জাতীয় সঙ্গীত। পরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইনসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
পরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায় ওসে চোখের দেখা প্রাণের কথা’সহ বেশ কয়েকটি গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
এরপর ‘ধন্য মুজিব ধন্য, বাংলা মায়ের মুক্তি এলো এমন ছেলের জন্য’, ‘এই মাটি নয় জঙ্গিবাদের, এই মাটি মানবতার’ গানের তালে তালে নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ছাত্রলীগের এই জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা আছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগে ব্যাপক হারে বিরুদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন ও আদর্শের অনুসারীরা অনুপ্রবেশের অভিযোগের মধ্যে নেতৃত্ব নির্বাচনে বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এই সম্মেলনকে ঘিরে পদপ্রত্যাশীদের বংশ পরিচয়ের বিষয়েও খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। দুই দিনের এই সম্মেলন শেষে নতুন মডেলের ছাত্রলীগের দেখা মিলবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
প্রতিবার ছাত্রলীগের সম্মেলনের আগে আওয়ামী লীগের সাবেক নেতাদের সিন্ডিকেটের কথা শোনা গেলেও এবার সেটি আর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেনি। ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছাই এবার গুরুত্বপূর্ণ। আর শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তিনি সমঝোতার ভিত্তিতে কমিটি করতে চান।
দুই দিনের এই সম্মেলনে রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছেন।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১১মে-২০১৮ইং)