চোরা গুপ্ত হত্যাচেষ্টায় মনপুরা থানার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ! এখনো গ্রেপ্তার হয়নি প্রধান আসামি।।

 

ডেস্ক রিপোর্ট।। ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার বাসিন্দা জহির নামে এক ব্যাক্তিকে রাতের আঁধারে চোরা গুপ্ত হত্যা চেষ্টা করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদারের ভাগিনা মনিরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী। ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো গ্রেপ্তার হয়নি প্রধান আসামিসহ এজাহার ভুক্ত চিহ্নিত আসামিরা । জানাযায় এজাহারভূক্ত প্রায় আসামিরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ২ নং হাজিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদারের নিকট আত্মীয়।ফলে স্থানীয় প্রভাব দেখি আসামিদের পক্ষে মনপুরা থানায় চলছে নানা ধরনের দেন দরবার।শুধুমাত্র গুপ্তহত্যা চেষ্টার সময় সন্ত্রাসী ইলিয়াছকে হাতে নাতে স্থানীয় জনসাধারণ আটক করেন, এরপর মনপুরা থানা সন্ত্রাসী ইলিয়াসকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। গতরাত আনুমানিক ৩টার সময় ঘটনা ঘটে। জহির আহত মোঃ জহির জানান তিনি রাতে খাওয়া দাওয়ার পর ঘুমিয়ে যান রাত ৩টার সময় হটাৎ ৪ থেকে ৫জন লোক তার মুখের ভিতরে কাপড় ডুকিয়ে চেপে ধরে,একপর্যায়ে তার মুখ ও হাত বেঁধে ঘরের বাহিরে এনে গলায় চুড়ি চালানোর চেষ্টা করে,তখন ধস্তাধস্তির শব্দে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের ধাওয়া করে,তখন এলাকাবাসী মোঃ ইলিয়াস নামে একজনকে আটক করে।আটককৃত মোঃ ইলিয়াস জানান, এই ঘটনার সাথে মোঃ জসিমের ছেলে মনির,কুটি মিয়ার দুই ছেলে মোঃ শাহিন ও শহিদ ও শামছল হকের ছেলে মোঃ মন্নান জড়িত আছে।আহত জহির আরো জানান দূর্বৃত্তরা সিক কেটে ঘরে ডুকে আমাকে বাহিরে নেওয়ার আগে ঘরে থাকা ২লক্ষ ৪০হাজার টাকা ও ৪ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়।দূর্রবৃত্তদের হামলায় জহির গুরতর আহত হয়,বর্তমানে তাকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা দেওয়া হচ্ছে।বিষয়টি নিয়ে মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম জানান, আমি বর্তমানে ছুটিতে রয়েছি,তবে বিষয়টি আমি অবগত রয়েছি, আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আহত জহিরকে মনপুরা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন ।

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE