আদিত্য জাহিদ, চরফ্যাশন প্রতিনিধি,
একাধিক প্রেম ঘটিত কারনে একই বিদ্যালয়ের সহপাঠী প্রেমিকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে শশীভুষন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনির স্কুল ছাত্রী আয়েশা বেগমকে প্রেমিক তমাল, আইমন,জুলহাস, খালেদ, বারিকসহ এসিড নিক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয়।
তাদের নেয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক সোমবার ভোর রাত আনুমানিক ৪ টার দিকে দাদী আফরোজা বেগম (৮০) সাথে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায় দুবৃত্তরা ।
শশীভুষণ থানার অফিসার ইনচার্জ হানিফ সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের সোমবার গ্রেপ্তার করার পর মঙ্গলবার তাদের চরফ্যাশন আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জাকির হোসেন সোর্পদ করলে আদালতের বিচারক শিবলী নোমান তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন ।
শশীভুষণ থানার অফিসার ইনচার্জ হানিফ সিকদার আরো জানান, চরফ্যাশন উপজেলার শশীভুষন থানার রসুলপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের শশীভুষণ গ্রামের হাজী পাড়া রোডের বাবুল পন্ডিতের মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থায় কে বা কারা এসিড নিক্ষেপ করে মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে দিয়েছে এমন সংবাদে তদন্ত অব্যাহত রেখে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভোলা, সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে ও চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের গিয়ে আয়েশার জবানবন্দী গ্রহণ করে সন্ধ্যায় ৫জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তমাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পরে গ্রেপ্তারকৃতরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভোলা ও সহকারী পুলিশ সুপার চরফ্যাশনকে জানান, আয়েশা বেগম( ১৪)”র ১ম প্রেমিক জুলহাস ওরফে মিরাজের সাথে সর্ম্পক রেখে তমাল ওরফে ইসমাইল একই সাথে আইমন সহ অন্যদের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলে । জুলহাস বাদে অন্য প্রেমিকরা সহপাঠী হওয়ার সুবাদে একাধিক প্রেমের ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে তারা এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান।
এসিডদগ্ধের শিকার আয়েশা বেগমের ভাই রাসেল(২২)”র সাথে কথা বললে তিনি প্রেমঘটিত কারনে এসিডদগ্ধের কথা অস্বীকার করেন।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর কর্মকর্তা ডা. শোভন বসাক জানান, আয়েশার শরীরের মুখমন্ডল সহ ৩৫ শতাংশ আহত হয়েছে। তাকে দ্রুত ঢাকায় বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করা হবে।
(অাল-আমিন এম তাওহীদ, ৩জুলাই-২০১৮ই)