স্টাফ রিপোর্টার ভোলাঃ-ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার আবু বকরপুর ইউনিয়নে জমিজমা বিরোধের জের ধরে নজির আহমেদ সরদার বাড়িতে শুক্রবার সকাল ৮ দিকে খালেক ও ছালাউদ্দিন এর নেতৃত্বে আব্দুল কুদ্দুস (৫৩) জাবেদ (৩১), অর্ধ শতাধিক লাঠিয়াল বাহিনী দা, লাঠি, লোহার রড সহ দেশীয় সশস্ত্র নিয়ে আসলাম (৬৫) মোরশেদা (৪৫) নুরনাহার (৩০) কামাল (১৮) সহ পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করে গুরুতর আহত করেন। আহতদের গুরুতর অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করেন।আহত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,আসলাম গং দীর্ঘ ৫০ থেকে ৬০ বছর ধরে এ জমি ভোগ দখল করে আসছেন। আব্দুল কুদ্দুস মাস্টারের নেতৃত্বে ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টার সময় অর্ধশতাধিক লাঠিয়াল বাহিনী সহ অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আমাদের বাড়িতে ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত পূর্বের প্রস্তুতকৃত একটি টিনের চালা অন্যস্থান থেকে তৈরি করে বসতবাড়িতে দখলের নামে একটি ঘর উত্তোলন করে। দুর্বৃত্ত জাবেদ আসলাম কে হত্যার উদ্দেশ্যে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় আসলাম গং অর্থাৎ বাদি পক্ষ ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে দুলারহাট থানার এসআই বেলায়েত ঘটনাস্থলে এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ভিডিও চিত্র ধারণ করে বলে মামলার বাদী মোরশেদা বেগম জানান।বর্তমানে দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।যেকোনো মুহূর্তে আবারো সংঘর্ষ বাড়তে পারে।এদিকে আসলাম মিয়ার ছেলে কামাল নিজ জমিতে ঘর উত্তোলন করতে গেলে সেখানেও বাধা দেন আব্দুল কুদ্দুস গং। এ ব্যাপারে আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমার ১৮ শতাংশ জমির বুঝ না পাইতে পুরো সম্পত্তিতেই বাধা প্রদান করব।তবে আব্দুল কুদ্দুস মাস্টার সাংবাদিকদের বলেন, তবে এই জমি নিলামে হরিপদ প্রসন্ন এর নিকট থেকে ক্রয় করে দলিল সূত্রে মালিকানা দাবি করেন।তিনি বলেন, ১১ একর ৬১শতাংশ জমি দলিল নেন। হরিপদ প্রসন্ন বাবুর নিকট থেকে সে অনুযায়ী আমি জমির মালিক দাবি করছি। আসলাম স্ত্রী মোরশেদা বেগম (৪৫) বাদী হয়ে চরফ্যাশন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা – সি আর ৬৬/তারিখ ১১/০২/২৪ এবং চরফ্যাশন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এমপি নং ২১/২৪ তারিখ ০৭/০২/২৪ মামলা দায়ের করেন। আঃ কুদ্দুছ সহ ছালাউদ্দিন (৫০) জসিম (৪৮) আকরাম (৫০)তৈয়্যব (৪৮) জাবেদ (৩১) এর নামে মামল দায়ের করেন। বাদীর তফসিল সম্পত্তি চরফ্যাশন উপজেলাধীন তৌজি নং ৩৪, জে এল নং ৬৬, হালে ১০ নং মৌজা ওসমান গঞ্জ এস এ খতিয়ান নং ২৬৬, এস এ দাগ নং ১২০, বিএস খতিয়ান নং ১৩১৩, দাগ নং ৩৭৬ তন্মধ্যে) ১২ শতাংশ বিরোধীও ভূমি।এ ব্যাপারে আবু বকরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজ মিয়ার সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন,আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং আব্দুল কুদ্দুস কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি আব্দুল কুদ্দুস কে বলেন, জোরপূর্বক জমি দখল কিংবা মারধর করার কোন প্রয়োজন ছিল না। বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে সমাধান করলেই ভালো হবে, তিনি উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সমাধান করে দিবেন বলে জানান। দুলারহাট থানার এস আই মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের সাথে আলাপ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে আহত আসলাম সহ মহিলাদের হাসপাতাল পাঠাই।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান