বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ভোলায় চরফ্যাশনের দুলারহাটে বর্বরোচিত কান্ড ঘটিয়েছে পরকীয়ায় আসক্ত পাষন্ড স্বামী। নীলকমল ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ডের শাহেদ আলীর ছেলে মামুন যৌতকের জন্য তার স্ত্রীকে রক্তাক্ত জখম করে চরফ্যশন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। হাসপাতালে বেডে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতর মিনারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ২০১৬ সালের দিকে দুলারহাট থানার নীলকমল একই ইউনিয়নের শাহেদ আলীর ছেলে মামুন এর সাথে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার সুখের কথা বিবেচনা করে জামাই মামুনকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা যৌতুক প্রদান করেন মিনারার পরিবার। এর পর চলতে থাকে তাদের সুখের সংসার।
বিয়ের দেড় বছরের মাথায় তাদের সংসারে একজন কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করেন। কিন্তু গত ছয় মাস ধরে তার স্বামী মামুন (২৩), ছোট ভাই মাসুম (২০), ছোট বোন মুক্তা (১৮), শাশুরী হালিমা (৪০), দাদী শাশুরী রাহিমা (৬০) মিলে তাকে বাড়ি থেকে আরও এক লাখ টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এনিয়ে তাকে তার বাবার বাড়িতেও পাঠিয়ে দিয়েছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। মিনারার ইয়াতিম বাবা মা দু’জনের এক জনও জীবিত না থাকায় শ্বশুর বাড়ির লোকজনের চাহিদা মেটাতে পারেনি। সর্বশেষ গত ০৪/০৩/২০১৯ ইং সোমবার বিকাল ৩ টার সময় স্ত্রী মিনারা বেগম টাকা দিতে অস্বিকৃতি জানালে স্বামী মামুন, শ্বাশুরী হালিমা, দাদী শাশুরী রহিমা, দেবর মাসুম, ননদ মুক্তাসহ তাকে বেধরক মারধর করে তার সমস্ত শরীর থেতলে দেয়। পরে পাশের বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে মিনারা বেগম চরফ্যাশন সদর হাসাপাতালের ৩য় তলায় মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডের ০৫ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও মামুন একাধিক পরকীয়ার সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন স্ত্রী মিনারা বেগম। এদিকে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে দেবর মাসুমকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দুলারহাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দেবর মাসুককে আটক করেছে দুলারহাট থানা পুলিশ।