মোঃ আরিয়ান আরিফ।।
করোনা দুর্যোগের মধ্যেই ভোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। মেঘনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সাত উপজেলায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রা ৩০ গ্রামের বাসিন্দারা। পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ ও মাছের ঘের। টানা বৃষ্টি ও প্রচন্ড বাতাসে অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এতে বিভিন্ন স্থানের অভ্যন্তরিণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তার ছিড়ে জেলার সবকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ে ভোলা সদর উপজেলার ৬নং ধনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংগ্নল ইলিয়াছ মিয়া ধনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিধ্বস্ত হয়েছে।
বুধবার (২০মে) বিকালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের
প্রভাবের বিদ্যালয়ের আধাপাকা ভবনটির এক-তৃতীংশ বিধ্বস্ত হয়েছে।বিদ্যালয়টি বিধ্বস্ত হওয়ায় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ
অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারনে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে সকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করতে পরেনি প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। তবে মাঠ পর্যায়ে তাদের প্রতিনিধিরা কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।