অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গুজব ও উস্কানিমূলক পোস্ট ছড়ানোর অভিযোগে মো. শাখাওয়াত হোসেন ওরফে রাতুল সরকার ওরফে রিংকুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। রাতুল কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
সোমবার রাত একটার দিকে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাসেম।
বলেন, ‘চলমান ছাত্র আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে তাকে ডিবির হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।’
গত ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কের এমইএস মোড়ে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর রাজধানীতে টানা কয়েক দিন বিক্ষোভ দেখায় শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গুজব ছড়াতে রাতুল সরকার গত ৪ ও ৫ আগস্ট তার নিজস্ব ফেসবুকে এবং বিভিন্ন পেজে বিতর্কিত পোস্ট দেয়।
গত ৪ আগস্ট ফেসবুকে ব্যাপকভাবে গুজব ছড়ানো হয় যে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈকি কার্যালয়ে চারজন ছাত্রকে হত্যা এবং চার জনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রথমে অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ ফেসবুক লাইভে এসে ছড়ান যে দুই জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং একজনের চোখ তুলে নেয়া হয়েছে। এরপর বেশ কিছু সাক্ষাৎকারের মতো করে ভিডিও ছড়ানো হয় যেখানে হত্যা ও ধর্ষণের কথা ছড়ায়।
সেদিন বিকালেই অবশ্য প্রমাণ হয়ে যায় এগুলো গুজব ছিল আর নওশাবা ফেসবুক লাইভে বলেন, তিনি একজনের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে ‘ইউজড’ হয়েছিলেন।
ওই রাতেই নওশাবা গ্রেপ্তার হন। আর র্যাবকে তিনি বলেন, রুদ্র নামে একজনের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে এই লাইভে এসেছিলেন।
তবে সেদিন আরও বহুজন এই গুজব ছড়িয়েছেন আর বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণ হওয়ার পরও এই কাজ অব্যাহত হয়েছে। যারা এসব কাজ করেছেন, তাদের রাতুল সরকারও রয়েছেন।
এরই মধ্যে গুজব ছড়িয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিয়ে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগে নাম ও ছবিসহ ৩০ জনের তালিকা পেয়েছে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেসটিগেশন ডিপার্টমেন্ট-সিআইডি। তবে সেই তালিকায় সবাইকে দোষী হিসেবে দেখছে না সংস্থাটি। যাচাই বাছাই শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ৭আগস্ট-২০১৮ই)