গণমাধ্যমের ভবিষ্যৎ কী?

  1. মনজু ইসলাম ঃ
    নিয়োগপত্র নেই, বেতনের নিশ্চয়তা নেই এমনই অন্ধকার হাউজে আমাদের বসবাস। শুধু পরিচয়পত্রের সুবাদে টিকে থাকা এই পেশাটা আমাদের জীবনকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। হাতে গোনা দুই একটি মিডিয়া ছাড়া অধিকাংশ মিডিয়ার অবস্থা দৈন্যদশায় গিয়ে ঠেকেছে। বেতনের হাহাকার প্রায় সব হাউজেই। এভাবে একটা পেশা কিভাবে টিকে থাকে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।

এদেশে যারা মিডিয়া হাউজ খোলেন তাদের আয়ের উৎসটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। নিজের কালো ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য যে তারা মিডিয়া খোলার ব্যাপারে আগ্রহী হন তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। কয়েক বছর মিডিয়া চালিয়ে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত হবার পরই মিডিয়া হাউজগুলো দেন গুটিয়ে।

মিডিয়া হাউজগুলোর ভেতরে এতো যে অব্যবস্থাপনা তা নিয়ে মাথাব্যাথা নেই তথ্য মন্ত্রণালয়ের। বছরের পর বছর ওয়েজ বোর্ডের যে ঘোষণাগুলো মন্ত্রণালয় দেয় তার কোন ইমপ্লিমেন্টশন সিংহভাগ মিডিয়া হাউজে নেই। এগুলোর তদারকিও করে না তারা। এর পাশাপাশি সরকারী বিজ্ঞাপন বরাদ্ধ নিয়েও আছে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি। আছে পার্সেন্টেজের নানান কেচ্ছা।

গনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় দেশের মিডিয়া হাউজগুলোতে যে অনাচার চলে আসছে তার প্রতিকার না হওয়াটা দুঃজনক। প্রতিদিন সামাজিক মাধ্যমে মিডিয়া হাউজ বন্ধের ঘোষণা ও সহকর্মী সাংবাদিকদের চাকুরিচ্যুতির খবর আমাদের শুনতে হচ্ছে। এটা আমাদের কেবল আহতই করছে না, হৃদয়ে রক্তক্ষরণও ঘটাচ্ছে।

দেশের সাংবাদিক সংগঠনগুলো এ ব্যাপারে নির্বিকার। তারা পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েই খালাস। এসব সংগঠনের দুটি অংশ রাজনৈতিক মতাদর্শে বিভক্ত। ফলে সার্বিকভাবে সংবাদকর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য যেটা করা দরকার সেটা তারা করেন না। এসব নেতাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা মালিকপক্ষের তাবেদারি করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই অবস্থায় দেশের সাংবাদিকতা আগামীতে কতটা বিকশিত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

CNI পত্রিকার রাজ ভাইয়ের ফেসবুক থেকে নেয়া।

SHARE