মনজু ইসলাম/টিপু সুলতানঃ
ডাক্তার ফরহাদের বিচারের দাবী জানিয়েছেন ভোলার সচেতন নাগরিক পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংঘঠনের নেতারা। সচেতন নাগরিক পরিষদের সাধারন সম্পাদক মোঃ সফিকুল ইসলাম ভোলা নিউজ কে বলেন, ভোলার সর্বজন প্রিয় শিক্ষক রফিকুল ইসলামসহ যাদের ডাঃ ফরহাদ চিকিৎসার নামে হত্যা করেছে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আমি তার বিচারের দাবী জানাচ্ছি। ভোলার বাপ্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লাহ বলেন, রফিক স্যার কেবল মাত্র আমার এলাকার শিক্ষা গুরুই ছিলেন না উনি সারা দেশের শিক্ষকদের আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিতেন। অধ্যক্ষ রফিকের মত একজন মানুষকে এতো গুলো ইনজেকশন কেন দেয়া হলো তার একটা স্বাস্থ ও বিচার বিভাগিয় তদন্ত করা প্রয়োজন। আমি জেলা প্রশাসকের প্রতি আহ্বান জানাবো নিরপেক্ষ তদন্ত করে ডাঃ ফরহাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য। ভোলা নিউজের সম্পাদক এডভোকেট মনিরুল ইসলাম বলেন, অধ্যক্ষ রফিক স্যার কেবল ভোলা নিউজের প্রধান সম্পাদক ই ছিলেন না তিনি বাংলাদেশের শিক্ষকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন একারণে হয়তো তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে নচেৎ কেন একটা সুস্থ মানুষকে সামান্য হাচি কাশির জন্য ৪০ টি দামি ইনজেকশন দেয়া হবে? আমি এই হত্যা কান্ডের বিচার বিভাগিয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
ডাক্তার ফরহাদকে এর আগে ইনজেকশন দিয়ে মানুষ হত্যার দায়ে শাহাবাজপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে পিটিয়ে বের করে দেয়া হলেও তার হত্যার বিচার না করার জন্য আজ আবার বলি হতে হলো ভোলার সকলের প্রিয় এই মানুষটিকে।
শাহাবাজ পুর জেনারেল হাসপাতালের সেই সময় কর্মরত এক নারী কর্মকর্তা বলেন, ডা. ফরহাদকে আমরা পাগলা ডাক্তার হিসেবেই চিনি। নিজে ইনজেকশন লিখে আর স্ত্রীকে দিয় তা পুশ করায়। আর এ কারনেই এর আগে একাদিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শাহাবাজপুর হাসপাতাল থেকে তাকে সরিয়ে দিলেও কয়েক দিন পর তার স্ত্রীসহ তাকে আবার ডেকে নিয়ে এসেছেন। রফিক স্যার হত্যার বিচার না হলে এই পাগলা ডাক্তার ফরহাদ আরো অনেক রুগী মেরে ফেলবে।
ভোলার যুগান্তর প্রতিনিধি এম হেলাল উদ্দিন ডাক্তার ফরহাদের কাছে চিকিৎসার জন্য গেলে তাকে একই ঔষধ একাদিকবার ও অনেক গুলো ঔষধ লেখার কারণ জানতে চাইলে ডাক্তার ফরহাদ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিনের উপর ক্ষেপে যান।
এই ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় হত্যা হতে হলো ভোলার সকলের প্রিয় রফিক স্যারকে। ভুল চিকিৎসায় গত এক মাসে ১৪ শ টাকা দামের ৪০ টি ইনজ্যাকশন দিয়েছেন রফিক স্যারের দেহে। ইনজ্যাকশনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় হার্ট এ্যাটাক হতে পারে রফিক স্যারের। এমনটাই জানিয়েছেন অন্য ডাক্তাররা।
বরিশাল থেকে এসে ভোলায় বাসা ভাড়া করে সে তার স্ত্রী ভোলার কয়েকটি বেসরকারি মেডিকেল সার্ভিসে বসেন তার স্ত্রী ও ডাক্তার ফরহাদ। ডাক্তার ফরহাদ হোসেনের খেশারতে আজ ভোলা নিউজের প্রধান সম্পাদক, শিক্ষক নেতা, পশ্চিম বাপ্তা আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ্য ভোলা মেডিকাল সাইন্স এন্ড টেকনোলজির পরিচালক অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম।
ভোলার সকলের প্রিয় এ শিক্ষক নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। পাশাপাশি ডাক্তার ফরহাদের শাস্তির দাবীতে ভোলার জেলা প্রশাসক ও বিচার বিভাগের কাছে জনপ্রিয় অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের হত্যার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবীও জানান ভোলার ছাত্র শিক্ষক ও অভিবাবকরা।
ছবি ঃ জিএম সানাউল্লাহ