আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করা পছন্দ করেন। তাই পরস্পরের মধ্যে ক্ষমার নীতি অবলম্বনের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব, তোমরা ক্ষমা করো এবং এড়িয়ে চলো যতক্ষণ না আল্লাহর নির্দেশ এসে পড়ে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুর ওপর সর্বশক্তিমান।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১০৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তুমি ক্ষমার নীতি গ্রহণ করো। লোকদের সৎকাজের আদেশ দাও এবং মূর্খদের এড়িয়ে চলো।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৯৯)
ক্ষমার মাধ্যমে মানুষের পাপ মোচন করা হয়। যে ব্যক্তি অন্যকে ক্ষমা করে আল্লাহ তাআলা তার অপরাধ ক্ষমা করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যদি তোমরা তাদের মার্জনা করো ও দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা করো ও ক্ষমা করো, তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা : তাগাবুন, আয়াত : ১৪)
ক্ষমাকারী ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার অফুরন্ত ক্ষমা লাভে ধন্য হয়। যে অন্যকে ক্ষমা করে সে আল্লাহ ও মানুষের ভালোবাসা লাভ করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা কোনো সৎকর্ম প্রকাশ করো বা গোপন করো কিংবা কোনো অপরাধ মার্জনা করো, তাহলে আল্লাহ নিশ্চয়ই মার্জনাকারী ও সর্বশক্তিমান।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৪৯)
দুনিয়াতে কেউ কাউকে ক্ষমা করলে আখিরাতে ক্ষমা মিলবে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের ভুল ক্ষমা করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার ভুল ক্ষমা করবেন। (ইবন মাজাহ, হাদিস : ২১৯৯)
মানুষকে দয়া করলে আল্লাহর দয়া পাওয়া যাবে। আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী করিম (সা.)-কে মিম্বরের ওপর বলতে শুনেছেন, তোমরা (মানুষের ওপর) দয়া করো, তাহলে (আল্লাহর) দয়া প্রাপ্ত হবে। ক্ষমা করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন। ভালো কথা দমনকারীদের জন্য ধ্বংস।
আর ধ্বংস তাদের জন্য, যারা জেনে-শুনে পাপ করে এবং পাপ কাজে অনড় থাকে। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ৬৫৪১, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস : ৪৮২)
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান