ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,
ছাত্রলীগ নিয়ে নিজের ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে টেলিভিশন শোতে এসে কাঁদলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। ছাত্রলীগকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নিজের প্রয়াত মায়ের স্বপ্নের কথা তুলে ধরে তা বাস্তবায়নে নিজের কর্মপরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
রবিবার রাতে ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদির উপস্থাপনায় বেসরকারি টেলিভিশন মাইটিভির ‘তৌহিদ আফ্রিদি শো’তে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন গোলাম রাব্বানী।সেখানে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে রাব্বানীকে উপস্থাপক প্রশ্ন করেন,‘আপনার ভালবাসার মানুষ কে?’
জবাবে রাব্বানী বলেন,‘আমার জীবনের সবচেয়ে ভালবাসার মানুষ ছিলেন আমার মা। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করার আট দিন আগে মা চিরদিনের মত চলে গেছেন।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার খবর শুনলে সব থেকে মা বেশি খুশি হতেন বলেও জানান রাব্বানী। বলেন, ‘আমার মাও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। ছাত্রলীগ আমাদের অনেক আবেগের সংগঠন। কারণ, অনেক কষ্টে শ্রম দিয়ে ছাত্রলীগ দাঁড় করিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এবার কমিটি দেয়ার সময়ও তার চোখে কতটা প্রত্যাশা দেখেছি। সাধারণ মানুষও ছাত্রলীগের প্রতি অনেক প্রত্যাশা। যার প্রতি প্রত্যাশা বেশি তার প্রতি অভিযোগ,অনুযোগও বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক।’
এ কথা বলতে বলতেই একপর্যায়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রাব্বানী। এসময় তাকে হাত দিয়ে চোখের পানি মুছতেও দেখা যায়। এসময় অনুষ্ঠানের উপস্থাপক আসন থেকে উঠে গিয়ে তাকে সান্ত্বনা দেন।
ছাত্র রাজনীতি করার জন্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হওয়ার কথা জানিয়ে রাব্বানী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি আমার বিভাগের ছাত্র ছিলেন এটা চিন্তা করলে গর্বে বুকটা ভরে উঠে।’
‘আমার ক্যারিয়ার, ছাত্রজীবন,যৌবন সব ছাত্রলীগকে ঘিরে। আমার মা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন এর থেকে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে? আমার বিসিএস হয়েছে, জুডিশিয়ারিতে হয়েছে কিন্তু আমার মা বলছে তুমি ছাত্রলীগ করো,শেখ হাসিনার জন্য কাজ করো এটাই আমার প্রত্যাশা।’
‘আমার নানার স্বপ্ন ছিল, আমরা যেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে চলি। নানা মারা যাওয়ার সময় আম্মুকে বলে গেছেন। আমি সেটা ধারণ করে চলছি। যাতে আমার কোনো কাজে আচরণে যাতে আমার মা, নানার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ না হয় সেই চেষ্টা করি।’
ছাত্রলীগকে নিয়ে স্বপ্নের কথা জানিয়ে রাব্বানী বলেন, ‘একজন কর্মীকে কোনো মুরুব্বি দেখলে মাথায় হাত বুলিয়ে বলবে বাবা বেঁচে থাকো। আমি ছাত্রলীগকে নিয়ে তেমন স্বপ্ন দেখি। যা কিছু সত্য, যা কিছু সুন্দর, পজিটিভ সৃষ্টিশীল, মননশীল তার সঙ্গে থাকবে ছাত্রলীগ।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১০সেপ্টেম্বর-২০১৮ইং)