ইব্রাহিম আকতার আকাশ/ টিপু সুলতান ঃ ঢাকার বেইলি রোড এলাকার কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট অগ্নিকাণ্ডে নিহত নয়ন ও জুনাইদ এর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সন্তানকে হাঁরিয়ে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন স্বজনরা।
নিহত নয়নের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের চর কুমারিয়া গ্রামে। তিনি দিনমজুর সিরাজ উদ্দিনের ছেলে এবং দুর্ঘটনা কবলিত কাচ্চি ভাই বিরানীতে হোটেল বয় হিসেবে চাকুরী করতেন তিনি।
অন্যদিকে জুনাইদ শহরের পৌর ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাইনুল হক হারুন এর ছেলে। তিনি ঢাকার একটি ‘ল’ কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহত নয়নের পরিবার জানান, ৫ দিন আগে বাড়ি থেকে কাজের সন্ধানে ঢাকা গিয়েছিলেন তিনি। ৩ দিন আগে চাকুরিও পেয়েছেন সেই রেস্টুরেন্টে। তবে ভাগ্যের নির্মমতা তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে।
নয়নের মা নাজমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ছেলে ফোনে জানিয়েছে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসবে। কিন্তু তার তো আর ফেরা হলোনা।
নয়নের পরিবারটি খুবই দরিদ্র। কাজের টানে ঢাকা গিয়ে প্রাণ হারাতে হলো। ৯ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়ালেখা করে অভাবের কারনে আর পড়া হয়নি। বাধ্য হয়েই ঢাকায় গিয়ে কাজ শুরু করে।
অন্যদিকে একই অগ্নিকান্ডে ভোলার আরো দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন দোলা ও মাহী। তাদের বাড়ি দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের গুপ্তগঞ্জ বাজারে। তাঁরা ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান