করোনা সংকটে কেমন আছে শিক্ষার্থীরা,কী ভাবছেন অভিভাবক

=============================
মোঃ আশরাফুল আলমঃ
অদৃশ্য এক করোনা যুদ্ধে লড়ছে সারা বিশ্ব।এ যুদ্ধে টিকে থাকার প্রধান কৌশল হচ্ছে ঘরে থাকা। শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের করোনা বিস্তার রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ২৬ মার্চ থেকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষনা করেছেন সরকার। ১৭ মার্চের পর থেকে টেলিভিশন ও অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ দেখার কথা থাকলেও ওরা কেমন আছে? পড়াশুনা কেমন চলছে? অভিভাবকরা কী ভাবছেন? এ বিষয়ে খোজ খবর নিতে গিয়ে কথা হয় ভোলা সরকারি স্কুলের দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান ও মাছুমা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হালিমা ইসলামের সাথে। এরা দুই জনই ২০২১ সালের এস এস সি পরীক্ষারর্থী। দুই জনই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য স্কুল ও কোচিংয়ে পড়াশুনার কারণে প্রায় সারাটা দিন ঘরের বাইরে থাকতে হতো। সাধারণ ছুটির কবলে পড়ে অন্যান্যদের মতো তাঁরা দুজনেই ঘরে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছে। তারা জানান, স্কুল বন্ধ থাকায় কারো সাথে দেখা করা যাচ্ছে না। পড়াশুনার বিষয়েও কারো সাথে মত বিনিময় করতে পারছি না। সেই কারনে আমাদের পড়াশুনা ভাল হচ্ছে না। সারাক্ষণ ভয় কাজ করছে।ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে স্কুল, কোচিং ও প্রাইভেট সেন্টারগুলি তালাবদ্ধ। ফলে ঐ এলাকাগুলি এখন সুনসান নিরবতা। বিভিন্ন শ্রেনির শিক্ষার্থীদের কয়েকজন অভিভাবক জনাব খলিলুর রহমান, শামীমা ইয়াছমিন, জাহানারা বেগম এর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাসায় তাদের সন্তানরা হাঁফিয়ে উঠেছে। কেউ কেউ বাইরে আসতে চাচ্ছে, কেউ কেউ কান্নাকাটি করছে। বাসা-বাড়িতে ছোট্র পরিসরে অনেক শিক্ষার্থীরা অস্থির হয়ে পড়েছে। অভিভাবকরা আরোও জানান, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় টিভিতে করোনা বিষয়ে নানা খবর শিশু শিক্ষার্থীদের মনের উপর প্রভাব ফেলছে। কেউ কেউ ভয় পাচ্ছে। কেউ আবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অনেক শিক্ষার্থীরা বাইরে আসতে চাইছে।
স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা নিদিষ্ট সময়ে সিলেবাস শেষ করা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। কোন কোন শিক্ষার্থী পড়াশুনার পাশাপাশি বাসায় ক্যারাম, লুডু খেলে অবসর সময় কাটাচ্ছে। কেউ কেউ অন্যান্য বিষয়ে পড়াশুনা করে সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে কথা বললে বাংলা বাজার ফাতেমা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব জসিম উদ্দীন ও ফাতেমা খানম কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল জনাব বিল্লাল হোসেন জানায় -করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছেলে মেয়েদের নিদিষ্ট সময়ে সিলেবাস শেষ হওয়া নিয়ে আমরা চিন্তিত । তাঁরা আরো জানান আমাদের দেশে ২৬/২৭টি টিভি চ্যানেল। সবগুলি চ্যানেল যদি বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা মূলক অনুষ্ঠান প্রচার করতো তাহলে দেশের এই সংকটের সময় আমাদের সন্তানদের উপকার হতো। আমাদের সন্তানদের শিক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত।এ ব্যাপারে একজন সাস্হ্য কর্মকর্তা ডাঃ দেবাশিশ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, এই সংকটকালিন সময়ে সন্তানদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব বেড়ে গেছে। প্রতিদিন বিকেলে বাসায় ছাদে হোক বা কাছে কোন নির্জন স্থানে এক ঘন্টার মতো তাদের মুখে মাস্ক পড়িয়ে ঘুরে আনা ভালে। বৃটেনে এই নিয়ম চালু করেছে। আর এই সময়ে শিক্ষার্থীদের ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো দরকার। আর মানসিক দিক থেকে তারা যেন ভালো থাকে সে জন্য অভিভাবকদের উচিৎ তাদের সাহস যোগানো।

করোনা সংকটে কেমন আছে শিক্ষার্থীরা,কী ভাবছেন অভিভাবক”
=============================
মোঃ আশরাফুল আলম
অদৃশ্য এক করোনা যুদ্ধে লড়ছে সারা বিশ্ব।এ যুদ্ধে টিকে থাকার প্রধান কৌশল হচ্ছে ঘরে থাকা। শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের করোনা বিস্তার রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ২৬ মার্চ থেকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষনা করেছেন সরকার। ১৭ মার্চের পর থেকে টেলিভিশন ও অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ দেখার কথা থাকলেও ওরা কেমন আছে? পড়াশুনা কেমন চলছে? অভিভাবকরা কী ভাবছেন? এ বিষয়ে খোজ খবর নিতে গিয়ে কথা হয় ভোলা সরকারি স্কুলের দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান ও মাছুমা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হালিমা ইসলামের সাথে। এরা দুই জনই ২০২১ সালের এস এস সি পরীক্ষারর্থী। দুই জনই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য স্কুল ও কোচিংয়ে পড়াশুনার কারণে প্রায় সারাটা দিন ঘরের বাইরে থাকতে হতো। সাধারণ ছুটির কবলে পড়ে অন্যান্যদের মতো তাঁরা দুজনেই ঘরে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছে। তারা জানান, স্কুল বন্ধ থাকায় কারো সাথে দেখা করা যাচ্ছে না। পড়াশুনার বিষয়েও কারো সাথে মত বিনিময় করতে পারছি না। সেই কারনে আমাদের পড়াশুনা ভাল হচ্ছে না। সারাক্ষণ ভয় কাজ করছে।ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে স্কুল, কোচিং ও প্রাইভেট সেন্টারগুলি তালাবদ্ধ। ফলে ঐ এলাকাগুলি এখন সুনসান নিরবতা। বিভিন্ন শ্রেনির শিক্ষার্থীদের কয়েকজন অভিভাবক জনাব খলিলুর রহমান, শামীমা ইয়াছমিন, জাহানারা বেগম এর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাসায় তাদের সন্তানরা হাঁফিয়ে উঠেছে। কেউ কেউ বাইরে আসতে চাচ্ছে, কেউ কেউ কান্নাকাটি করছে। বাসা-বাড়িতে ছোট্র পরিসরে অনেক শিক্ষার্থীরা অস্থির হয়ে পড়েছে। অভিভাবকরা আরোও জানান, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় টিভিতে করোনা বিষয়ে নানা খবর শিশু শিক্ষার্থীদের মনের উপর প্রভাব ফেলছে। কেউ কেউ ভয় পাচ্ছে। কেউ আবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অনেক শিক্ষার্থীরা বাইরে আসতে চাইছে।
স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা নিদিষ্ট সময়ে সিলেবাস শেষ করা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। কোন কোন শিক্ষার্থী পড়াশুনার পাশাপাশি বাসায় ক্যারাম, লুডু খেলে অবসর সময় কাটাচ্ছে। কেউ কেউ অন্যান্য বিষয়ে পড়াশুনা করে সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে কথা বললে বাংলা বাজার ফাতেমা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব জসিম উদ্দীন ও ফাতেমা খানম কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল জনাব বিল্লাল হোসেন জানায় -করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছেলে মেয়েদের নিদিষ্ট সময়ে সিলেবাস শেষ হওয়া নিয়ে আমরা চিন্তিত । তাঁরা আরো জানান আমাদের দেশে ২৬/২৭টি টিভি চ্যানেল। সবগুলি চ্যানেল যদি বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা মূলক অনুষ্ঠান প্রচার করতো তাহল

SHARE