তাইফুর সরোয়ারঃ-
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত। ইতোমধ্যে সারা বিশ্বের প্রায় ৪২ লাখ মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনো ২৪ লাখের বেশি মানুষ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারে গলদঘর্ম বিশ্বের সেরা চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। এখনো তেমন আশার সংবাদ শোনা না গেলেও গত কিছুদিনে তুলনামূলকভাবে আগের তুলনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমে আসছে। যে কারণে কিছু কিছু দেশ পূর্বে ঘোষিত লকডাউন শিথিলও করতে শুরু করেছে।
এমন অবস্থায় করোনা থেকে বাঁচতে আগামী এক বছরের জন্য ২২ জরুরি পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠি। ডা. শেঠির সহজ-সরল পরামর্শগুলো পালন করলে রক্ষা পেতে পারে আমাদের জীবন। চলুন তার পরামর্শগুলো কি তা জেনে নিই :
১. এক বছরের জন্য বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত।
২. এক বছরের জন্য বাইরের খাবার খাবেন না।
৩. বিয়ে বা অন্যান্য অনুরূপ অনুষ্ঠানে যাবেন না।
৪. অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ করবেন না।
৫. কমপক্ষে এক বছর কোনো ভিড়ের জায়গায় যাবেন না।
৬. সামাজিক দূরত্বের নিয়মাবলী সম্পূর্ণরূপে অনুসরণ করুন।
৭. কাশি থেকে দূরে থাকুন।
৮. মাস্কটি মুখোমুখি রাখুন।
৯. বর্তমান এক সপ্তাহে খুব সাবধানতা অবলম্বন করুন।
১০. আপনার চারপাশে কোনো গোলমাল হতে দেবেন না।
১১. এখন থেকে ৬ মাস সিনেমা হল, শপিং মল, ভিড়ের বাজারে যাবেন না। সম্ভব হলে পার্ক, পার্টি ইত্যাদিও এড়িয়ে চলুন।
১২. শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান।
১৩. নাপিতের দোকানে বা বিউটি সেলুন পার্লারে থাকাকালীন খুব যত্নশীল হন।
১৪. অপ্রয়োজনীয় সভাগুলি এড়িয়ে চলুন, সর্বদা সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রাখুন।
১৫. করোনার হুমকি খুব শিগগিরই শেষ হচ্ছে না।
১৬. আপনি বাইরে বেরোনোর সময় বেল্ট, রিংগুলি, ঘড়ি পরবেন না। ঘড়ির দরকার নেই। সময় দেখার জন্য তো আপনার মোবাইলই রয়েছে।
১৭. হাতে কোনো রুমাল নয়, স্যানিটাইজার নিন।
১৮. জুতো আপনার ঘরে আনবেন না, বাইরেই রেখে দিন।
১৯. আপনার হাত পরিষ্কার করুন।
২০. আপনার যখন মনে হবে, কোনো সন্দেহজনক রোগীর কাছে এসেছেন তখন পুরো গোসল করুন।
২১. লকডাউন বা লকডাউন পরবর্তী ৬ মাস থেকে ১২ মাস এই সতর্কতা অনুসরণ করুন।
২২. আপনার পরিবার ও বন্ধুদেরও এটি জানিয়ে দিন।