এমপিও নীতিমালা-২০১৮ এর বিধি ১৮.৪ কেন অবৈধ হবে না – হাইকোর্ট।

কোর্ট প্রতিনিধি।।বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর বিধি ১৮.৪ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ এর সচিব সহ ৯ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর বিধি ১৮.৪ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী প্রধান আবুল কায়ের মোঃ (এ.কে.এম) ইউনুছ আলী ফারুকী মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন টি দায়ের করেন।আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর বিধি ১৮.৪ অনুসারে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী ও ব্যবস্থাপনা কমিটির মধ্যকার অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে বা তাদের মধ্যে সৃষ্ট মামলার কারণে এমপিও উত্তোলন সম্ভব না হলে পরবর্তীতে বকেয়া হিসাবে তা এমপিও খাত থেকে উত্তোলন করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এর আর্থিক দায়-দায়িত্ব বহন করবে যাহা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭, ২৯ ও ৩১ এর সাথে লঙ্ঘন।অ্যাডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম মিয়া আরো বলেন, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী প্রধান আবুল কায়ের মোঃ (এ.কে.এম) ইউনুছ আলী ফারুকী অসুস্থতা জনিত কারনে ম্যানেজিং কমিটিতে তাকে চাকুরিচ্যুত করে পরে বরগুনা জেলার সহকারী জজ আদালতে সোলেনামা আদেশ ও ডিক্রী হয় এবং বকেয়া বেতন প্রদানের সিদ্ধান্ত হয় কিন্তু অত্র বিধির কারণে বেতন প্রদান না করায় এই রিট পিটিশনিটি দায়ের করেন।

 

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE